আপনি কি ভাবছেন, “আমার বেতন একটু হলেও বাড়বে কি?” — নতুন পে স্কেলের ঘোষণা কি সেই স্বপ্ন সত্যি করবে?
নতুন পে স্কেল: কী আসছে, কারা বড় জয় পাবেন ও কারা বাধার মুখে পড়বেন
নতুন পে স্কেল কার্যকর হলে কর্মচারীদের মাসিক বেতন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে—তবে বেসরকারি খাতে খরচ ও ভাতা সংক্রান্ত বিপরীতে চাপ পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ পাচ্ছে।
কখন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল?
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে‑স্কেল সম্পর্কে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ অনুযায়ী নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরুতে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন কাঠামোয় সর্বোচ্চ কত শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো হবে?
ঠিক সুনির্দিষ্ট পরিমাণ ঘোষণা হয়নি—তবে বিশেষ সূত্রে বলা হচ্ছে “সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪” করার সুপারিশ রয়েছে। অর্থাৎ, সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতন প্রায় ৩২ হাজার থেকে শুরু হতে পারে, সর্বোচ্চ গ্রেডে প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা এমন একটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোন খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজ্ঞান‑গবেষণা, শিক্ষা‑শিক্ষক খাত, চিকিৎসা খাত ও উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক চাকরিতে বিশাল প্রভাব পড়তে পারে। কারণ এইখানকার কর্মচারীদের মেধা আকৃষ্ট ও ধরে রাখার জন্য নতুন বেতন কাঠামোর দাবি বেশি ছিল।
কোন ধরনের সম্মানী বা ভাতা বাতিলের প্রস্তাব এসেছে?
নতুন পে‑স্কেলে শুধু বেতন বাড়াই হবে না — বরং ভাতা ও অন্যান্য অতিরিক্ত সুবিধার রিভিউ হবে। সংবাদে এও বলা হয়েছে চিকিৎসা ভাতা, সন্তান শিক্ষা ভাতা, যাতায়াত ভাতা নিয়ে কাজ চলছে। এই প্রসঙ্গে ভাতা কমিয়ে দেয়ার বা আবার একীভূত করার সম্ভাবনাও রয়েছে, যা কিছু কর্মচারীর জন্য নেতিবাচক হতে পারে।
বেসরকারি খাতে কী ধরনের অর্থনৈতিক চাপ পড়তে পারে
যদি সরকারি বেতনের হঠাৎ বড় বৃদ্ধি হয়, তাহলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তুলনায় বেতন বাড়াতে বাধ্য হতে পারে—যতটা না তারা প্রস্তুত। এতে কর্মচারি মাইগ্রেশন, খরচ বৃদ্ধির কারণে উৎপাদনশীলতার সংকট ও মূল্যস্ফীতির নতুন চাপ দেখা দিতে পারে।
বেসরকারি চাকরিজীবীরা বলছেন, “সরকার বাড়িয়ে নিলে আমরা কোথায় যাব?” — এমন উদ্বেগ রয়েছে।
অতীতের স্কেলের সঙ্গে তুলনা
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে বেতন পান। আগামী নতুন পে‑স্কেলে এই স্কেল বদলাতে পারে, যাতে বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনের ব্যয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।
কী হবে কর্মচারীদের জন্য সুবিধা?
নতুন পে‑স্কেল কার্যকর হলে—
-
বেতন ও ভাতার বৃদ্ধি হতে পারে। গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য কমানোর চেষ্টা করা হবে।
-
কর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে, মানসিকভাবেও তারা শান্তি অনুভব করতে পারবেন।


