কতটুকু ন্যায়সঙ্গত, যখন এক জাতি আরেক জাতির জমি দখল করে রাষ্ট্র গঠন করে?
ইসরায়েলের ইতিহাস (History of Israel) নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে যুদ্ধ, নিপীড়ন, আর এক নিরীহ জাতির চরম কষ্টের গল্প। হাজার বছরের ইতিহাসের নামে ১৯৪৮ সালে একটি দখলদার রাষ্ট্রের জন্ম হয়, যার পর থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনে শুরু হয় ভয়াবহ দুঃখ-দুর্দশা।
ইতিহাসে ইসরায়েল — দখল ও নিপীড়নের ধারাবাহিকতা History of Israel
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার নামে জমি দখল
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল History of Israel রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ সহায়তায়, ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরছাড়া করে, হত্যা করে, জমি দখল করে তৈরি হয় ‘ইসরায়েল’ নামক একটি দখলদার রাষ্ট্র। সেই সময় জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিভক্তির পরিকল্পনা করা হয়, যার ফলে ফিলিস্তিনিদের জন্মভূমি দুই ভাগে বিভক্ত হয়—একটি অংশের উপর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ও পশ্চিম তীরে নিয়মিত বিমান হামলা চালায়। শিশু, নারী, বৃদ্ধ — কেউই রেহাই পায় না। জাতিসংঘ পর্যন্ত একে ‘war crimes’ বা যুদ্ধাপরাধ বলেছে, কিন্তু বড় বড় দেশের সমর্থনে ইসরায়েল বরাবরই রক্ষা পেয়ে গেছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এই নির্মমতার কোনো সীমা নেই।
আন্তর্জাতিক চাপেও নিষ্ঠুরতা বন্ধ হয়নি
বিশ্বজুড়ে মানুষ ইসরায়েলের History of Israel এই বর্বরতা বন্ধের জন্য সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কিছু পশ্চিমা শক্তির অন্ধ সমর্থনে ইসরায়েল প্রতিদিন ফিলিস্তিনে রক্ত ঝরাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বারবার নিন্দা প্রকাশ করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির অদৃশ্য চাপ সব প্রতিবাদকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
মিডিয়া ও প্রপাগান্ডা
ইসরায়েলপন্থী History of Israel মিডিয়া অনেক সময় ঘটনা বিকৃত করে ফেলে, যেন দোষ সব ফিলিস্তিনিদের। অথচ বাস্তবতা হলো—জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হওয়া, খাবার-চিকিৎসা না পাওয়া, বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে পড়া নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার লড়াইকে ‘সন্ত্রাস’ হিসেবে প্রচার করা হয়। পশ্চিমা মিডিয়া ‘আত্মরক্ষার’ নামে ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বৈধতা দেয়, যা প্রকৃতপক্ষে তথ্য বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়।
মুসলিম বিশ্বের ভূমিকা
দুঃখজনকভাবে, মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ ইসরায়েলকে প্রকাশ্যে সমর্থন না করলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয় না। অথচ ফিলিস্তিনি শিশুদের চোখের জল, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি আর মায়ের আহাজারি আমাদের বিবেক নাড়া দেয়। আজকের প্রজন্মের উচিত সোচ্চার হওয়া—রাজনৈতিক চাপ নয়, মানবতার পক্ষ নেওয়া।
ফিলিস্তিনের প্রতিবাদই আসল ন্যায়ের লড়াই
ইসরায়েল History of Israel ইতিহাস বলতে আমরা যে ‘প্রত্যাবর্তনের গল্প’ শুনি, সেটি প্রকৃতপক্ষে একটি জাতিকে ধ্বংস করে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠার গল্প। এই ইতিহাস একপাক্ষিক, ন্যায়বিচারবিহীন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস। প্রতিটি ফিলিস্তিনি যখন পাথর ছুঁড়ে প্রতিরোধ করে, সেটিই তাদের প্রতিবাদ নয়, বেঁচে থাকার আহ্বান।
অর্থনৈতিক অবরোধ ও মানবিক বিপর্যয়
ইসরায়েল History of Israel বহু বছর ধরে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে ফিলিস্তিনিরা পর্যাপ্ত খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা বা চলাচলের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। গাজার হাসপাতালগুলোতে ওষুধ নেই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এবং শিশুরা জন্ম নিচ্ছে এক যুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝে। এ যেন এক চলমান মানবিক বিপর্যয়।
এই অবরোধের ফলে গাজার জনগণ একটি উন্মুক্ত কারাগারে বাস করছে, যেখানে বেঁচে থাকাটাই একটি সংগ্রাম। ইসরায়েল প্রায়শই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, খাদ্য ও জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যার কারণে জীবনযাত্রা হয়ে পড়ে অমানবিক। এমনকি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোকেও ইসরায়েল অনেক সময় প্রবেশ করতে দেয় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার অন্তত ৮০% মানুষ মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল। স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়শিবিরও ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে। শিশুরা ভয় আর বোমার শব্দে বেড়ে উঠছে—এ যেন এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্ম। এই চিত্র শুধু যুদ্ধের নয়, এটি একটি পরিকল্পিত নিপীড়নের ফলাফল। ইসরায়েল বহু বছর ধরে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে ফিলিস্তিনিরা পর্যাপ্ত খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা বা চলাচলের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। গাজার হাসপাতালগুলোতে ওষুধ নেই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এবং শিশুরা জন্ম নিচ্ছে এক যুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝে। এ যেন এক চলমান মানবিক বিপর্যয়।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা ও প্রতিরোধের গুরুত্ব History of Israel
ইসরায়েলের ইতিহাস আমাদের শেখায় কীভাবে ‘ইতিহাস’ শব্দটি অপব্যবহার করে এক দেশের উপর আরেক দেশের আধিপত্য কায়েম করা হয়। আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, কীভাবে বিশ্ব রাজনীতি সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ তাই শুধু একটি জাতির নয়, এটি গোটা মানবতার পক্ষে একটি সংগ্রাম।
সত্য জানুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন
এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কাউকে আঘাত করা নয়, বরং বাস্তবতা তুলে ধরা। ইসরায়েল শুধু একটি রাষ্ট্র নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে চলমান অপরাধের প্রতীক। এখনই সময়, সত্য জানুন—ইসরায়েলকে নয়, ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান। যারা নিরব, তারাও অপরাধের অংশীদার। আপনি ন্যায়ের পক্ষে কীভাবে কথা বলবেন, সেটাই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোন ইতিহাস পড়বে। History of Israel