ব্রণ সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থির অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ, মৃত কোষ জমা, এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে হয়। এটি মুখ, কপাল, পিঠ, কাঁধ এবং বুকের উপরের অংশে বেশি দেখা যায়।
ব্রণের কারণ
- 
হরমোনাল পরিবর্তন: বয়ঃসন্ধিকাল, গর্ভাবস্থা, অথবা মাসিক চক্রের সময় হরমোনের পরিবর্তন ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
- 
জেনেটিক প্রভাব: পরিবারে ব্রণের ইতিহাস থাকলে, আপনার ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- 
অপরিষ্কার ত্বক: ময়লা ও তেল জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রণ হতে পারে।
- 
অতিরিক্ত স্ট্রেস: মানসিক চাপ ত্বকের সমস্যা বাড়াতে পারে।
- 
খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চিনি, দুগ্ধজাত খাবার, এবং ফাস্ট ফুড ব্রণ বাড়াতে পারে।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার
✅ দৈনন্দিন যত্ন
- 
মুখ পরিষ্কার রাখা: দিনে দুবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- 
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- 
সানস্ক্রিন প্রয়োগ: এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- 
হাত না লাগানো: মুখে হাত দেওয়া এবং ব্রণ খোঁটা থেকে বিরত থাকুন।
ঘরোয়া প্রতিকার
- 
টি ট্রি অয়েল: ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- 
অ্যালোভেরা জেল: প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
- 
মুলতানি মাটি: ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে।
- 
শসার রস: ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং পোরস সংকুচিত করে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
- 
পানি পান: প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- 
ফল ও সবজি: পুষ্টিকর খাবার ত্বকের জন্য উপকারী।
- 
চিনি ও ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা: এই ধরনের খাবার ব্রণ বাড়াতে পারে।
করণীয় ও বর্জনীয়
করণীয়
- 
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা।
- 
সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করা।
- 
পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ।
বর্জনীয়
- 
ব্রণ খোঁটা বা চেপে ধরা।
- 
অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার।
- 
অপরিষ্কার তোয়ালে বা বালিশের কভার ব্যবহার।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
যদি ঘরোয়া প্রতিকার ও সাধারণ যত্নেও ব্রণ নিয়ন্ত্রণে না আসে, অথবা ব্রণ গুরুতর আকার ধারণ করে, তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, এটি আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক যত্ন ও নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে আপনি সুস্থ, উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। আজই আপনার স্কিন কেয়ার রুটিন শুরু করুন এবং প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট


 
 