আপনি আল্লাহর কাছে তওবা করেছেন, কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়—আসলে কি আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন? যদি এমন সংশয় থেকে থাকে, তাহলে এই লেখা আপনার জন্যই।
তওবা তো করলেন, কিন্তু কীভাবে বুঝবেন সেটা কবুল হলো কি না? অনেকেই এই প্রশ্নে দ্বিধায় থাকেন। অথচ হাদিস ও আলেমদের ব্যাখ্যায় রয়েছে এমন কিছু লক্ষণ, যেগুলো জানলেই আপনি বুঝতে পারবেন আল্লাহ আপনার দিকে মুখ ফিরিয়েছেন কি না।
তওবা কবুল হওয়ার ৭টি লক্ষণ (আলামত):
1️⃣ পূর্বের গুনাহ থেকে ফিরে আসা:
তওবার পর আপনি যদি সেই গুনাহর পথ ছেড়ে ভালো পথে চলতে থাকেন—এটা সবচেয়ে বড় লক্ষণ।
2️⃣ নিজেকে পাপমুক্ত মনে না করা:
আপনার মধ্যে বিনম্রতা আসে, অহংকার চলে যায়—আপনি নিজেই নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকেন, এতে বোঝা যায় আপনি প্রকৃত তওবাকারী।
3️⃣ সৎ মানুষদের সান্নিধ্য খোঁজা:
আপনি যদি খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করে আল্লাহভীরু মানুষদের পাশে থাকতে চান, তাওবা কবুল হওয়ার সুন্দর আলামত।
4️⃣ ভেতরে অনুশোচনা আর দুঃখ:
একজন তওবাকারীর অন্তরে সবসময় একটা অনুতাপ কাজ করে। সে সব সময় আল্লাহর কাছে আরও বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করে।
5️⃣ পাপ কমে যাওয়া, নেক আমল বেড়ে যাওয়া:
আপনার ইবাদতের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, কুরআন পড়ছেন, সালাত ঠিকভাবে আদায় করছেন—এগুলো তওবার কবুল হওয়ার প্রমাণ।
6️⃣ পৃথিবীর মোহ কমে যাওয়া:
আপনি দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে আখিরাতের চিন্তায় মগ্ন থাকেন—এটি ইমানের পরিপক্বতার চিহ্ন।
7️⃣ দু’আ ও আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা বৃদ্ধি:
আপনি আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে চান, বারবারই তাঁর দয়ার আশ্রয় চান—এটাই প্রকৃত মুমিনের তওবা।
আল্লাহ কখনো কাউকে ফিরিয়ে দেন না, যদি কেউ আন্তরিকভাবে তওবা করে। তাঁর দরজা সব সময় খোলা। আপনার পাপ যত বড় হোক না কেন, যদি আপনি ফিরে আসেন—তিনি আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আজই একটি আন্তরিক তওবা করুন, হৃদয়ে অনুশোচনা রাখুন, আর আল্লাহর দরজায় বারবার ফিরে যান—কারণ তিনিই সবচেয়ে দয়ালু।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট