আপনি কি এমন একটা সময় কল্পনা করতে পারেন, যখন মাছ কিনে খাওয়া হবে বিলাসিতা?
যেখানে একসময় ভাত-মাছ বাঙালির পরিচয় ছিল, আজ সেই পরিচয়টাই যেন ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। গ্রামে মাছ উৎপাদন হয়, তবুও সেখানেই মাছের দাম শহরের চেয়েও বেশি—এ কেমন বাস্তবতা?
বাঙালির ঐতিহ্য আর খাদ্যসংস্কৃতি মাছে-ভাতে বাঁধা। কিন্তু এখন যখন এক কেজি পুঁটি ৮০০ টাকা, শিং-মাগুরের খোঁজ মিলছে না, আর ইলিশ স্বপ্ন হয়ে উঠছে, তখন প্রশ্ন ওঠে—‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ কি শুধুই অতীত স্মৃতি হয়ে যাবে?
🔍 জরিপ বলছে, মাছের দামই খাদ্য মূল্যস্ফীতির মূল হোতা।
যে মাছ এক সময় মধ্যবিত্তের পাতে প্রতিদিন উঠত, এখন তা নিম্নবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তের হাত থেকেও সরে যাচ্ছে। গ্রামে, যেখানে মাছ চাষ হয়, সেখানেই আজ মাছের দাম নাগালের বাইরে। শহর থেকে আসে বড়লোকি চাহিদা, প্রশাসনের দখলদারিত্ব, আর প্রবাসী পরিবারের বাড়তি ‘শক্তি’। এরই মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি মাছের স্বাদ, শিশুর পুষ্টি, আর প্রজন্মের মেধা।
💔 এক সময় ৮০ পয়সায় পাওয়া যেত ভাত, ডাল আর ইলিশ—আজ এক টুকরো ইলিশে ২০০০ টাকা!
এখন মাছ খাওয়ার হিসাবটা চলে পাঁচবার ভাবনা করে। অথচ পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মাছ উৎপাদনকারী দেশ!
🤔 তাহলে প্রশ্ন হলো—এত উৎপাদনের পরও আমরা কেন মাছ খেতে পারছি না?
উত্তর একটাই—বণ্টনের গড়মিল আর বৈষম্যের জাল।
🔴 📣 এখনই সময় প্রশ্ন করার—আমরা কীভাবে ঐতিহ্য ধরে রাখব?
✅ মাছ, দুধ, ডিম, মাংস ছাড়া শুধু ভাত খেয়ে কি মেধাবী প্রজন্ম গড়া সম্ভব?
👉 আপনার এলাকায় মাছের দাম কত? আপনি কি এখনো নিয়মিত মাছ খান? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর এই লেখাটি শেয়ার করুন যেন সবাই বুঝতে পারে—‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ শুধু কথা নয়, এটি বেঁচে থাকার অধিকার।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট