প্রতিবার যখন না বলতে গিয়ে গিলে ফেলেন নিজের ইচ্ছাটা—তখন কি মনে হয় না, “ইশ! যদি একটু সুন্দর করে না বলতে পারতাম”?
অনেকেই জীবনে এমন পরিস্থিতিতে পড়েন, যেখানে অন্যকে খুশি রাখতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনেন। বন্ধু টাকা চায়, সহকর্মী বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়, বা কোনো আত্মীয় আবদার করে বসে—না বলতে গিয়ে বিব্রত হন? আপনি একা নন। কিন্তু ভাবুন তো, যদি এমনভাবে “না” বলতে শেখেন যাতে সম্পর্কও থাকে ভালো আর নিজের অবস্থানও থাকে শক্ত—তাহলে কেমন হতো?
🌱 নিজেকে পরিবর্তন শুরু হোক এখান থেকে:
“না” বলা মানে উদ্রেক নয়, বরং বুঝিয়ে বলা। এটা একটা শিল্প।
-
🌟 মুখের ওপর না বলা নয়, কৌশলীভাবে অপারগতা জানানো।
-
🌟 বন্ধুত্ব বা সম্মান নষ্ট না করে নিজের সীমা নির্ধারণ করা।
-
🌟 আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকা—এটাই স্মার্টনেস।
স্মার্ট লিডার, কর্পোরেট বস, এমনকি আপনার আশপাশের কিছু মানুষ—আপনার চোখের সামনেই অসাধারণভাবে না বলার দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। কিন্তু আপনি কি তাদের মতো সাহসী হতে পেরেছেন?
🧭 বাস্তব জীবনের উদাহরণ:
যখন কেউ প্রেমের প্রস্তাবে না বলে সম্পর্কই শেষ করে দেয়—তখন সমস্যা। কিন্তু যদি বলা যায়, “তোমার অনুভূতির কদর করি, তবে আমি এর জন্য প্রস্তুত নই”—তাহলে?
ঠিক তেমনই, বন্ধুর টাকা চাইলে সরাসরি না না বলে যদি বলেন, “আমি চাই সম্পর্কটা অর্থের বাইরে থাকুক, এটা আমার জন্য অনেক মূল্যবান”—তাহলে? সে রাগ না করে বরং শ্রদ্ধা করবে।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্মান বজায় রেখে নিজের অবস্থান বোঝাতে শিখুন। আজ থেকেই চর্চা করুন—কীভাবে সম্পর্ক রেখে না বলতে হয়। নিজের জন্য, নিজের মানসিক শান্তির জন্য নিজেকে পরিবর্তন করুন।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট