প্রতিদিন একবারও কি কুরআনের সূরা তেলাওয়াত করার সুযোগ পাচ্ছেন না? যদি আপনি জানতেন, মাত্র কয়েকটি আয়াত আপনাকে শয়তান থেকে রক্ষা করতে পারে, আপনার রিজিক বাড়াতে পারে, আপনার অন্তরকে শান্তি দিতে পারে— তাহলে কি আপনি আর দেরি করতেন?
আমরা প্রতিদিন নানা অপ্রয়োজনীয় কাজ করি, অথচ ৫ মিনিট সময় নিয়ে কিছু ফজিলতপূর্ণ সূরা পাঠ করার অভ্যাস করি না। অথচ এই ছোট ছোট আমলই হতে পারে আখিরাতের পাথেয়।
✅ প্রতিদিন তেলাওয়াতের জন্য ৭টি ফজিলতপূর্ণ সূরা:
-
সূরা আল ফাতিহা:
কুরআনের জননী। প্রতিটি নামাজেই পাঠ হয়— এটি পড়লে দোয়া কবুল হয়, রুহানিয়াত বৃদ্ধি পায়। -
আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা ২৫৫):
প্রতিদিন রাতে পড়লে আল্লাহ একজন ফেরেশতা পাহারাদার নিযুক্ত করেন। শয়তান কাছে আসতে পারে না। -
সূরা আল-মুলক:
কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন এশার পর পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন নবীজি (সাঃ)। -
সূরা আল-কাহফ:
শুক্রবারে পড়লে জুমার আলোকপাত করে। দাজ্জালের ফিতনা থেকেও রক্ষা করে। -
সূরা আল-কাফিরুন:
ঈমান রক্ষার সুন্নতি দোয়া। প্রতিদিন ফজরের পর পড়লে মন বিশুদ্ধ থাকে। -
তিন কুলস (আল ইখলাস, ফালাক, নাস):
রাত্রিতে ঘুমানোর আগে পড়লে জিন, হিংসা ও কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পান। -
সূরা আল ওয়াকিয়াহ:
রিজিক বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। প্রতিদিন মাগরিবের পর পাঠ করুন।
এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী— তবে আল্লাহর কালাম চিরন্তন। প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট সময় বের করে তেলাওয়াত করুন, দেখবেন জীবনের সব অস্থিরতা কিভাবে প্রশান্তিতে বদলে যায়।
আজই শুরু করুন— প্রতিদিন ৭টি সূরার তেলাওয়াতের অভ্যাস। আপনি আল্লাহর আরও কাছে যাবেন, আর আপনার হৃদয়ে নামবে অদ্ভুত এক প্রশান্তি ইনশাআল্লাহ! শেয়ার করে প্রিয়জনদেরও এই আমলের দাওয়াত দিন।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট


