আপনি কি জানেন—রমজানের রোজার ইতিহাস কতটা গভীর ও অর্থবহ?
রমজান শুধু আজকের প্রজন্মের জন্য নয়, বরং আদম (আ.) থেকে শুরু করে প্রত্যেক নবী ও উম্মতের ওপরও রোজা ছিল ফরজ। এটা কেবল উপবাস নয়, আত্মা ও মনকে শুদ্ধ করার এক মহান ইবাদত। এই মাসে প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি আমল আল্লাহর কাছে বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
✨ রমজানের ঐতিহাসিক শুরু
📖 আল্লাহ তাআলা বলেন:
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর।” (সূরা বাকারা: ১৮৩)
এই আয়াতে বোঝা যায়, রোজা শুধু ইসলামেই নয়, বরং হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হযরত ঈসা (আ.) পর্যন্ত প্রতিটি নবী-উম্মতের ইবাদত হিসেবেই ছিল।
-
হযরত আদম (আ.) প্রথম রোজা রাখেন জান্নাতে নিষিদ্ধ গাছ থেকে দূরে থাকার আদেশের মাধ্যমে।
-
হযরত মুসা (আ.) তাওরাত পাওয়ার আগে ৪০ দিন রোজা রাখেন।
-
হযরত দাউদ (আ.) একদিন রোজা রাখতেন, একদিন না।
-
আর রাসূল (সা.) আশুরার দিন রোজা রাখতেন এবং সাহাবাদেরও উৎসাহ দিতেন।
সবশেষে, দ্বিতীয় হিজরিতে রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
💫 রমজান মানে শুধুই রোজা নয়!
এই মাস হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সেরা সময়। রোজা আমাদেরকে আত্মসংযম শেখায়, গরিব-দুঃখীর কষ্ট বোঝায় এবং জান্নাতের পথে আগানোর দ্বার খুলে দেয়।
চলুন, এই রমজানে শুধু রোজা রাখি না—রমজানের প্রকৃত শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করি। ইতিহাস জানুন, আমলে পরিণত করুন, এবং সওয়াবের খাতা পূর্ণ করুন ইনশাআল্লাহ!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট