একটি দেশ যেখানে জনগণ ভোট দেয়, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয় সামরিক বাহিনী—এখন প্রশ্ন, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কি গণতন্ত্রে, নাকি বন্দুকের নলের জবাবেই?
পাকিস্তানের রাজনীতি যেন অনিশ্চয়তার আরেক নাম। রাষ্ট্রটির স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও তাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো মজবুত হয়নি। কখনো সামরিক শাসন, কখনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আবার কখনো বিচার বিভাগে দ্বন্দ্ব—সব মিলিয়ে দেশটি এক জটিল সঙ্কটে।
বর্তমান সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে ইমরান খানের গ্রেফতার ও তার দল পিটিআইকে দমন করার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙে পড়ার পর থেকেই পাকিস্তানে সেনাবিরোধী মনোভাব তীব্র হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়েই দ্বন্দ্ব। আর এই ফাঁকে জনসাধারণ বিভ্রান্ত, দেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে। মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সাহায্যের আশায় অপেক্ষমাণ পুরো দেশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে সামরিক প্রভাব আর বিচার বিভাগের দ্বন্দ্ব যদি এমনভাবেই চলতে থাকে, তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, দেশটির সার্বিক উন্নয়নের পথও বন্ধ হয়ে যাবে। ইমরান খানের জনপ্রিয়তা তরঙ্গের মতো উথলে উঠলেও, তাকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা যেন বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে।
👉 পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার মতামত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন।
👉 নিউজটি শেয়ার করে সবাইকে জানাতে সাহায্য করুন—গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কোথায় যাচ্ছে।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট