একটি দেশ চালায় কাদের হাত ধরে—সামরিক শক্তি না কি জনগণের ভোট? আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, কোন শাসনব্যবস্থায় মানুষ বেশি নিরাপদ, স্বাধীন ও সম্মানিত?
মূল প্রতিবেদন:
বিশ্ব ইতিহাসে আমরা দেখি, কোনো কোনো সময় সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেছে। একে বলা হয় সামরিক শাসন (Military Rule)। আবার অন্যদিকে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই যখন দেশ চালায়, তখন সেটা হয় গণতান্ত্রিক শাসন (Democratic Rule)।
সামরিক শাসনের বৈশিষ্ট্য:
-
ক্ষমতা আসে বন্দুকের নলের জোরে, জনগণের ভোটে নয়
-
সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে সীমিত
-
বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ন্ত্রণে থাকে সামরিক নেতৃত্বের
-
জনগণের মতামতের মূল্য কম
গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য:
-
সরকার আসে জনগণের ভোটে
-
মতপ্রকাশ, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক মতভেদ সহ্য করা হয়
-
জনগণের চাপে সরকার পরিবর্তন সম্ভব
-
সাংবাদিকতা, বিচারপতি, সংসদ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে
বাস্তব প্রভাব:
সামরিক শাসনের অধীনে কিছু সময়ের জন্য স্থিতিশীলতা দেখা গেলেও দীর্ঘমেয়াদে মানুষের অধিকার খর্ব হয়। গণতন্ত্রে নানা জটিলতা থাকলেও জনগণ নিজের অধিকার আদায় করতে পারে।
সামরিক শাসন হয়তো রাস্তাঘাটে শৃঙ্খলা আনে, কিন্তু মানুষের মুখ বন্ধ করে।
গণতন্ত্র হয়তো কোলাহলপূর্ণ, তবুও সেখানে একজন সাধারণ মানুষ তার চিন্তা, দাবি ও স্বপ্নের কথা বলার সাহস রাখে।
📢 আপনি কী বিশ্বাস করেন—ভোটে গড়া সরকার না কি বন্দুক হাতে গড়া সরকার?
নিচে কমেন্ট করুন আপনার মতামত, এবং শেয়ার করুন যেন অন্যরাও চিন্তা করতে শেখে।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট