“আমি কী করবো? কোনটা ঠিক? কোনটা ভুল?” — এমন প্রশ্ন মানুষের জীবনে একাধিকবার আসে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই সব প্রশ্নের এক চিরন্তন উত্তরদাতা গ্রন্থ হলো শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, বরং গীতা হলো জীবনচর্চার গাইড, নৈতিকতার আলো, আধ্যাত্মিকতার অনুশীলন।
গীতা কী?
গীতা হলো মহাভারতের অংশ, যেখানে কৃষ্ণ ভগবান অর্জুনকে ধর্ম, কর্ম, আত্মা ও মোক্ষের শিক্ষা দেন। এই ৭০০ শ্লোকের সংকলনটি মানুষের আত্মজিজ্ঞাসা এবং ঈশ্বর-সন্ধানকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।
📘 গীতা কীভাবে আধ্যাত্মিক জীবন গঠন করে?
🔹 কর্মযোগের শিক্ষা দেয়:
গীতা শেখায়, “কর্ম করো, কিন্তু ফলের আশা রেখো না।” এই নীতি অনুসরণে ব্যক্তি নিজেকে অহং থেকে মুক্ত রাখতে শেখে এবং নিজের দায়িত্বে মনোনিবেশ করতে পারে।
🔹 আত্মজ্ঞান ও মোক্ষের পথ দেখায়:
গীতা অনুযায়ী, আমরা কেবল শরীর নই—আমরা আত্মা। এই আত্ম-সচেতনতা হিন্দুদের ধ্যান, যোগ ও সংযমের পথে এগিয়ে নেয়।
🔹 চরিত্র গঠনে সাহায্য করে:
ক্ষমা, অহিংসা, সত্যবাদিতা, সংযম—এগুলো গীতার মূল বার্তা। যা একজন মানুষের নৈতিক শক্তি গড়ে তোলে।
🔹 সঙ্কটে স্থির থাকার শিক্ষা দেয়:
গীতা বলে, সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি, জয়-পরাজয় সবই সাময়িক। এই দৃষ্টিভঙ্গি একজন বিশ্বাসীকে স্থির ও সাহসী রাখে।
🔹 ভক্তির শক্তিকে গ্রহণ করতে শেখায়:
গীতায় বলা হয়, “ভক্তিযুক্ত মন দিয়ে আমাকে যে স্মরণ করে, আমি তাকে নিজের করে নিই।” এটি ঈশ্বরের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ার পথ।
🙏 কার জন্য গীতা?
• যে জীবনের মানে খুঁজছে
• যে সঙ্কটে ভুগছে
• যে আত্মিক উন্নতি চায়
• যে ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়
আপনি কি নিজের জীবনকে আরও গভীরভাবে জানতে চান?
আজই গীতার একটি শ্লোক থেকে শুরু করুন!
শুধু পড়ুন না—ভাবুন, হৃদয়ে ধারণ করুন।
👉 আধ্যাত্মিক জীবনের দিশা পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন: khobor365.com
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট