আপনি কি কোনো কঠিন সিদ্ধান্তে দ্বিধায় পড়েছেন? মনে প্রশ্ন—কোনটা কল্যাণকর, কোনটা ক্ষতিকর? এমন সময়েই ইস্তেখারা নামাজ হতে পারে আপনার আল্লাহর পক্ষ থেকে সঠিক দিকনির্দেশনার চাবিকাঠি।
ইস্তেখারা শব্দের অর্থই হলো “কল্যাণ চাওয়া”। জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন আমরা বুঝে উঠতে পারি না—এই কাজ করবো, নাকি করবো না? কার সঙ্গে সম্পর্ক করবো, কোন চাকরি নেবো, কোথায় বিনিয়োগ করবো—এসব প্রশ্নে দ্বিধা হলে প্রিয় নবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, ইস্তেখারা নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছেই পরামর্শ চাইতে।
✅ ইস্তেখারার নামাজের নিয়ম কী?
-
দুই রাকাত নামাজ পড়ুন নফল হিসেবে (যেকোনো সময়, তবে নামাজ নিষিদ্ধ সময় এড়ান)।
-
নামাজ শেষে দুরুদ শরীফ পাঠ করুন।
-
এরপর ইস্তেখারার মূল দোয়াটি পড়ুন—দোয়ার মাঝে যে কাজটি নিয়ে দ্বিধায় আছেন, সেটির নাম উল্লেখ করুন বা মনে মনে ভাবুন।
🤲 ইস্তেখারার দোয়া (বাংলা অর্থ সহ)
“হে আল্লাহ! যদি এই কাজটি আমার দীন, দুনিয়া, জীবিকা ও পরিণতির জন্য উত্তম হয়, তবে তা সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দিন। আর যদি খারাপ হয়, তবে তা আমার কাছ থেকে সরিয়ে দিন এবং উত্তম কিছু নির্ধারণ করুন—যেখানেই হোক।”
ছোট প্রয়োজনে দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য সংক্ষিপ্ত দোয়াও রয়েছে:
“আল্লাহুম্মা খিরলি ওয়াখতারলি।”
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাকে কল্যাণ দাও এবং আমার জন্য নির্বাচিত কর।”
📌 কখন ইস্তেখারা করবেন?
-
বিয়ে, চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ বা জীবনের বড় কোনো সিদ্ধান্তে।
-
যখন আপনি দ্বিধায় থাকেন যে, এটি আমার জন্য ভালো হবে কি না।
❗শর্ত:
-
বিষয়টি বৈধ/হালাল হতে হবে।
-
আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে।
-
পাপ বা গুনাহর কোনো বিষয়ে ইস্তেখারা করা যাবে না।
আপনার আশেপাশে কেউ যদি দ্বিধায় থাকে, এই গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক জ্ঞানটি এখনই তাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। একটিমাত্র ইস্তেখারাই হয়তো বদলে দিতে পারে কারও জীবন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট