পশ্চিমারা যে পুতিনকে থামাতে চায়, সেই পুতিন কি এখন উল্টো তাদেরই চাপে ফেলেছেন? যুদ্ধের মাঠে শুধু গোলাগুলি নয়, চলছে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও—আর তাতে কি পুতিন ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন?
সংক্ষিপ্ত ও প্রভাবশালী স্ক্রিপ্ট (৪০০ শব্দ):
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বকে চমকে দেন। সেই সময় অনেকে ভাবছিলেন—এই যুদ্ধ বেশিদিন টিকবে না। কিন্তু আজ, দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে, পুতিন আগের চেয়েও আত্মবিশ্বাসী।
পশ্চিমারা চেষ্টা করেছে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে—অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, সামরিক সহায়তা, কূটনৈতিক চাপে রাখার চেষ্টা… কিন্তু ফলাফল কি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে?
রাশিয়া ধীরে ধীরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দখলে নিচ্ছে। সাম্প্রতিক আভদিভকা বিজয় রুশ সেনাদের জন্য বড় এক মনোবলের জয়। অন্যদিকে, পুতিনবিরোধী নেতা নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমাদের জন্য বড় ধাক্কা।
পশ্চিমা দেশগুলো এখন দ্বিধার মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ইউরোপে ডানপন্থীদের উত্থান—সব মিলিয়ে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সহায়তা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। পুতিন ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়াও ভিতরে ভিতরে ক্ষতিগ্রস্ত—তিন লক্ষাধিক সৈন্য হতাহত, অর্থনীতি দুর্বল, জনমনে ক্লান্তি। কিন্তু যতক্ষণ না ইউক্রেন পর্যাপ্ত সহায়তা পায়, ততক্ষণ পুতিনের দাপট কমবে না।
এই যুদ্ধে শুধু সামরিক শক্তি নয়, সময়ও বড় অস্ত্র। পুতিন অপেক্ষা করছেন, ট্রাম্প ফিরে আসবেন কি না, ইউরোপ আরও দুর্বল হবে কি না। আর তখনই হয়তো তিনি বড় কিছু করবেন।
বিশ্ব রাজনীতির এই উত্তাল সময়ে পুতিন কি নতুন করে হিসাব কষছেন? জানতে হলে পুরোটা পড়ুন—এই যুদ্ধ আমাদের ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করতে পারে।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট