প্রাচীন সময় থেকে আধুনিক রাজনীতি
-
প্রাচীন যুগ: ফিলিস্তিন অঞ্চলে প্রাচীন ইহুদি ও আরব জাতিগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। পরবর্তীতে অঞ্চলটি রোমান, বাইজেন্টাইন, মুসলিম খিলাফত ও অটোমানদের শাসনে আসে।
-
১৮৯৭: ইউরোপে শুরু হয় জায়নবাদ আন্দোলন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র—প্যালেস্টাইনে।
বেলফোর ঘোষণা ও ব্রিটিশ শাসন (১৯১৭–১৯৪৮)
-
১৯১৭: ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর একটি চিঠিতে ইহুদি জাতির জন্য ফিলিস্তিনে “জাতীয় আবাসভূমি” প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
-
১৯২০–৪৮: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিন শাসন করে। এই সময় ব্যাপক ইহুদি অভিবাসন শুরু হয় এবং আরবদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়তে থাকে।
🌍 জাতিসংঘের পরিকল্পনা ও ইসরায়েলের জন্ম (১৯৪৭–৪৮)
-
১৯৪৭: জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দুটি ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেয়—একটি ইহুদি রাষ্ট্র ও একটি আরব রাষ্ট্র।
-
১৯৪৮: ইহুদিরা প্রস্তাব মেনে নেয় ও ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা করে।
-
আরব রাষ্ট্রগুলো তা প্রত্যাখ্যান করে।
-
শুরু হয় প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।
-
প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়, যাকে “নাকবা” বা “বিপর্যয়” বলা হয়।
-
⚔️ পরবর্তী বড় বড় যুদ্ধ ও আন্দোলন
-
১৯৫৬: সুয়েজ সংকট—ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মিশরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
-
১৯৬৭: ছয় দিনের যুদ্ধ—ইসরায়েল দখল করে গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম, গোলান হাইটস।
-
১৯৭৩: ইয়োম কিপুর যুদ্ধ—মিশর ও সিরিয়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা করে।
-
১৯৮৭–১৯৯৩: প্রথম ইন্তিফাদা—ফিলিস্তিনিদের গণআন্দোলন শুরু হয়।
-
২০০০–২০০৫: দ্বিতীয় ইন্তিফাদা—নতুন দমন-পীড়নের মুখে আরও বড় আন্দোলন।
🤝 শান্তির চেষ্টা ও বিভাজন
-
১৯৯৩: ইসরায়েল ও পিএলও অসলো চুক্তি স্বাক্ষর করে।
-
২০০৫: ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে, কিন্তু অবরোধ বজায় রাখে।
-
২০০৭: গাজায় হামাসের ক্ষমতা গ্রহণ; ইসরায়েল গাজা অবরোধ শুরু করে।
📍 সংঘাতের মূল কারণ
-
ভূখণ্ড: পশ্চিম তীর, গাজা, পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে দ্বন্দ্ব।
-
শরণার্থী সমস্যা: বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরার অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ।
-
ইহুদি বসতি: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতির সম্প্রসারণ।
-
জেরুজালেম: উভয় পক্ষই শহরটিকে নিজেদের রাজধানী দাবি করে।
🩸 বর্তমান পরিস্থিতি
-
গাজায় হামাস ও পশ্চিম তীরে পিএলও—ফিলিস্তিন দুই ভাগে বিভক্ত।
-
ইসরায়েল কড়া নিরাপত্তা ও সামরিক পদক্ষেপ নেয়, ফিলিস্তিনিরা প্রায়ই বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ চালায়।
-
২০২৩ ও ২০২৪ সালে আবারও রক্তাক্ত সংঘর্ষ ঘটে, বহু বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়।
🕯️ উপসংহার
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ধর্ম নয়, মানবতার, ভূখণ্ড, অধিকার ও সম্মানের লড়াই। একপক্ষ তার রাষ্ট্র রক্ষা করতে চায়, আর অন্যপক্ষ স্বাধীনতা ফিরে পেতে লড়ছে।
আপনি কি জানতেন এই ইতিহাস? আজ যারা রক্ত হারাচ্ছে, তারা আমাদের মতোই মানুষ।
📣 ইতিহাস জানুন, পক্ষ নিন মানবতার।
👉 এই ইতিহাস জানুন, শেয়ার করুন। মানবতার পাশে দাঁড়ান।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট