কারবালার প্রান্তরে নবী পরিবারের রক্ত ঝরেছিল, কিন্তু আশুরা কি শুধু শোকের দিন? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর ইতিহাস?
🔍 মনোযোগ আকর্ষণ:
আশুরা মানেই কেবল কষ্ট আর কান্না নয়—এ দিনেই বহু নবী জীবনে বড় বিজয় পেয়েছিলেন, এবং হযরত হোসাইন (রাঃ)-এর আত্মত্যাগ মুসলিম ইতিহাসে এক মহান আদর্শ হয়ে আছে।
📜 আশুরার মূল ইতিহাস সংক্ষেপে:
🟢 আশুরার ফজিলত:
আশুরা মূলত মহররম মাসের ১০ তারিখ। হাদিস অনুযায়ী এই দিন নবী মুসা (আঃ) ফেরাউনকে পরাজিত করেন। এজন্য নবীজি (সাঃ) এ দিনে রোজা রাখার গুরুত্ব দিয়েছেন (বুখারী ২০০৪)।
🟠 কারবালার ট্র্যাজেডি:
৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদের সেনারা হোসাইন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে শহীদ করে। প্রিয়নবীর দৌহিত্রের এই আত্মত্যাগ সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক হয়ে রয়ে গেছে ইতিহাসে।
🟣 কেন তিনি কুফা গেলেন?
ইরাকের মানুষ হোসাইন (রাঃ)-কে নেতৃত্বের আমন্ত্রণ জানায়। তিনি যুদ্ধের জন্য নয়, বরং শান্তির জন্য কুফা রওনা হন। কিন্তু যাত্রাপথে বিশ্বাসঘাতকতা ও যুলুম তাঁর কাফেলাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
🛑 ভুল প্রচলন থেকে সাবধান:
আশুরা উপলক্ষে মাতম, তাজিয়া, রক্তাক্ত শোক মিছিল ইসলাম সমর্থন করে না। বরং কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী এ দিন ইবাদত, রোজা ও আত্মশুদ্ধির সময়।
💡 ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয়:
✅ আশুরার দিনে রোজা রাখা
✅ কারবালার শিক্ষা থেকে আত্মত্যাগ ও সত্যের পথে অটল থাকার প্রেরণা নেওয়া
✅ শোক নয়, দোয়া ও দীন পালনের মাধ্যমে দিনটি পালন
আপনার আশেপাশে যদি কেউ আশুরা ও কারবালাকে শুধু কান্নার উৎস মনে করে, তবে এই ইতিহাসটি আজই শেয়ার করুন। সত্য জানুন, অন্যকেও জানান।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট