“সব খরচ চালালাম, মানুষ করলাম… অথচ এখন ওরা নিজের মতো থাকতে চায়। কেন এমন হয়?”
🎯 মনোযোগ আকর্ষণকারী বিষয়:
বর্তমান যুগে বহু পরিবারই এই অভিযোগে পোড়ে—”আমার ছেলে আগের মতো কথা বলে না”, “মেয়ে এখন শুধু নিজের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত”, “ফোনেও ভালো করে সময় দেয় না!”
এটা কি কেবল সময়ের ব্যস্ততা, নাকি এর পেছনে আছে কিছু গভীর মানসিক কারণ?
📌 মূল ৭টি কারণ:
১. অতিরিক্ত চাপ ও শাসন:
বাবা-মায়ের অতিরিক্ত কন্ট্রোল, শাসন, সবসময় ভুল ধরার প্রবণতা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিদ্রোহের জন্ম দেয়।
২. ব্যক্তিত্বকে সম্মান না পাওয়া:
বড় হলেও অনেকে ছেলেমেয়েদের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেন না। ফলে তারা ধীরে ধীরে পরিবার থেকে মানসিকভাবে দূরে সরে যায়।
৩. আবেগীয় দূরত্ব:
শুধু খাবার-খরচ নয়, সন্তানের মনে কী চলছে, তা জানার চেষ্টা না করলে সম্পর্কটা কাগুজে হয়ে যায়।
৪. তুলনা করা অভ্যাস:
“তোর বন্ধুর এত ভালো চাকরি!” কিংবা “ওর বিয়ে এত ধুমধাম করে হলো!” – এই তুলনা সন্তানকে ক্লান্ত করে তোলে।
৫. ব্যস্ততা ও সময়ের ব্যবধান:
বর্তমানের চাকরি, পরিবার, প্রযুক্তির আসক্তি ও দূরত্ব—সব মিলিয়ে সময়ের অভাব তৈরি করে দূরত্ব।
৬. অতীতের আঘাত বা অপমান:
শৈশবের কোনো ঘটনা, অপমান বা অবহেলার স্মৃতি অনেক সময় ছেলে বা মেয়েকে স্থায়ীভাবে আড়ালে নিয়ে যায়।
৭. মূল্যবোধের ভিন্নতা:
পুরাতন প্রজন্ম ও নতুন প্রজন্মের চিন্তাভাবনার সংঘর্ষও একটি বড় কারণ—যেখানে কেউ কাউকে বুঝতে চায় না।
💡 সমাধান বা করণীয়:
-
নিয়মিত খোলামেলা কথোপকথন করুন
-
উপদেশ না দিয়ে আগে শুনুন
-
প্রশংসা করতে শিখুন
-
ছোট ছোট সময় একসাথে কাটান
-
ভুল স্বীকারে পিছপা হবেন না
-
সন্তানকে বন্ধু বানান, বিচারক নয়
আপনার সন্তান আপনার সঙ্গেই থাকুক, দূরে নয়—আজই সময় মন খুলে কথা বলার।
পোস্টটি শেয়ার করুন, কারণ হয়তো আপনার বন্ধু বা ভাইয়ের পরিবারও এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট