আজ কি আপনি মাকে জড়িয়ে ধরেছেন? বাবাকে এক কাপ চা বানিয়ে দিয়েছেন? না করলে, শুধু মা দিবস পালন করে কী লাভ?
আজকের সমাজে আমরা যেন ভালোবাসাকেও অনুষ্ঠান আর ক্যামেরাবন্দি স্মৃতিতে আটকে ফেলেছি। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে মা দিবস, বাবা দিবস, বন্ধুত্ব দিবস ইত্যাদি পালন করে নিজেদের দায়িত্ব শেষ মনে করছি। কিন্তু ইসলাম আমাদের যা শিখিয়েছে, তা শুধুই একটা দিনের সীমায় আটকে রাখা সম্ভব নয়।
ইসলামে পিতা-মাতার মর্যাদা অপরিসীম।
রাসুল (সা.) বলেছেন, “জান্নাত মায়ের পায়ের নিচে।” (নাসাঈ, ৩১০৪)
এক সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, “আমার সর্বোচ্চ হকদার কে?” উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, “তোমার মা, এরপর তোমার মা, এরপর তোমার মা, এরপর তোমার বাবা।” (বুখারি, ৫৯৭১)
এই হাদিসগুলো থেকেই বোঝা যায়—পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য শুধু বছরে একদিন নয়, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে।
🔸 তাদের কথা শুনুন।
🔸 দুঃখ দিয়ে নয়, দোয়া দিয়ে বিদায় নিন ঘর থেকে।
🔸 সামনে মাথা নিচু রাখুন, পেছনে গর্ব নিয়ে চলুন।
🔸 তাদের অভিশাপ নয়, দোয়া হোক আপনার রিজিকের চাবি।
আমরা ভুলে গেছি, পিতা-মাতা আমাদের জান্নাতের পথে সেতু। অথচ আজকের সমাজে ওল্ড হোম বাড়ছে, আর সন্তানের দায়িত্ববোধ কমছে। আমরা গিফট দিই, ছবি দিই, কিন্তু যত্ন দিই না।
🔔 এই মুহূর্ত থেকেই বদলান নিজেকে। পিতা-মাতার প্রতি আপনার প্রতিদিনের ভালবাসা হোক বাস্তব, নিঃস্বার্থ আর নিরবিচারে।
আজই শুরু করুন—এক কাপ চা, একটি মিষ্টি হাসি আর একবার ‘আমার জন্য দোয়া করবেন’ বলাই যথেষ্ট। মা-বাবার হৃদয় জয় করতে বড় কিছু লাগে না। ❤️
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট