এক ফোঁটা গঙ্গাজল কি সত্যিই পাপমোচন করতে পারে? কেন কোটি কোটি হিন্দু গঙ্গাকে দেবী হিসেবে পূজা করে?
এই প্রশ্নগুলো নতুন নয়, তবে উত্তরগুলো জানলে আপনি যেমন অবাক হবেন, তেমনি বিস্মিতও হবেন।
হিন্দু ধর্মে গঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি একটি জীবন্ত দেবীর প্রতীক। গঙ্গার পবিত্রতা ও মহিমা এতটাই গভীরভাবে হৃদয়ে গেঁথে আছে যে মৃত্যুর পর গঙ্গাজলে স্নান করানো, বা তার ধারে চিতার অগ্নি প্রজ্বলনকে এখনও চরম পবিত্রতার অংশ ধরা হয়।
গঙ্গার উৎপত্তি নিয়ে তিনটি ঐতিহাসিক মত
প্রথম মতে, গঙ্গা আবির্ভূত হন যখন ব্রহ্মা তার কমণ্ডলুর জল দিয়ে বিষ্ণুর পদ ধৌত করেন। সেই জল থেকেই সৃষ্টি হয় গঙ্গা—যাকে বিষ্ণুপাদোদকও বলা হয়।
দ্বিতীয় মতে, গঙ্গা হলেন হিমালয় ও মেনকার কন্যা এবং পার্বতীর ভগিনী।
তৃতীয় মতে, ব্রহ্মা গঙ্গাকে পবিত্র করে স্বর্গে উত্তীর্ণ করেন—সেখান থেকেই গঙ্গার শুরু, যাকে ‘স্বর্গ থেকে নামা নদী’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
গঙ্গার সঙ্গে পুণ্য আর মুক্তির যোগসূত্র
হিন্দু ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, গঙ্গায় স্নান করলে পাপমোচন হয়, এবং মৃত্যুর পরে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া দেহ আত্মার মুক্তি নিশ্চিত করে। হরিদ্বার, বারাণসী, প্রয়াগ—সব জায়গাতেই গঙ্গা ঘিরে গড়ে উঠেছে হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান।
গঙ্গা শুধু নদী নয়, এক জীবন্ত অনুভব
তাইতো গঙ্গাকে বলা হয় “গঙ্গা মা”। ঘরে ঘরে গঙ্গাজল রাখার রীতি, পূজা বা অনুষ্ঠানে গঙ্গাজল ছিটানো, সব কিছুই এই বিশ্বাস থেকে এসেছে যে গঙ্গা দেবীর জল পবিত্রতা ছড়ায়।
👉 আপনি কি জানতেন গঙ্গার এত প্রাচীন ইতিহাস? এই লেখাটি শেয়ার করুন যাঁরা বিশ্বাস করে ধর্মে, ইতিহাসে আর শিকড়ে।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট