পড়তে বসলে মন বসে না? মনে হয় সারাদিন কেটে গেল, কিছুই করা হলো না?
আপনি একা নন। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আজ এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যারা সময় ব্যবস্থাপনায় একটু স্মার্ট, তারাই আজ পরীক্ষায় টপ করছে।
জেনে নিন এমন ৭টি বাস্তব ও সহজ সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল যা যেকোনো শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় মনোযোগী ও সফল করে তুলবে।
১. রুটিন আগে, কাজ পরে:
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে রাত পর্যন্ত আপনি যা যা করেন, তার তালিকা তৈরি করুন। প্রার্থনা, খাওয়া, ক্লাস, বিশ্রাম—সব কাজ বাদ দিয়ে যে সময়টা হাতে থাকে, সেটাই পড়ার সোনার সময়।
২. কম জরুরি কাজ বাদ দিন:
বন্ধুদের সাথে আড্ডা, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার, অনর্থক টিভি দেখা—এসব বাদ দিলে আপনার পড়ার সময় এমনিতেই বেড়ে যাবে।
৩. টাস্ক-বেইজড রুটিন তৈরি করুন:
৬টা-৬:৩০ পর্যন্ত বাংলা নয়—রুটিনে লিখুন, “বাংলা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ১টি পড়া।” কাজের ভিত্তিতে রুটিন করুন, সময়ের নয়।
৪. সকালের সময়কে কাজে লাগান:
ভোর ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সময়টাই মস্তিষ্কের সবচেয়ে সক্রিয় সময়। কঠিন ও মুখস্থের বিষয়গুলো এই সময় পড়লে স্মৃতিতে বসে যায়।
৫. রাতে হালকা পড়া রাখুন:
রাত ১০টার পর কঠিন কিছু না পড়াই ভালো। গল্প, কবিতা বা রিভিশনের জন্য রাখুন এই সময়টা।
৬. মনোযোগের দুশমন—মোবাইল ফোন:
পড়ার সময় ফোন দূরে রাখুন। প্রয়োজন হলে সাইলেন্ট করে অন্য রুমে রাখুন। নোটিফিকেশন মানেই মনোযোগের ছেদ।
৭. সপ্তাহে একদিন শুধু রিভিশনের জন্য:
৬ দিনের পড়া একদিনে রিভিশন করুন, সম্ভব হলে নিজে নিজেই টেস্ট নিন। এতে রিটেনশন বাড়ে ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।
👉 এই কৌশলগুলো আজ থেকেই মেনে চলুন।
👉 ৩০ দিনের মধ্যেই আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন—আপনার পড়াশোনার মান কতটা বদলে গেছে!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট