এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে? আর কত প্রাণ ঝরবে? গাজার আকাশে আবারও আগুনের লেলিহান শিখা, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া আর্তনাদ, হাসপাতালগুলোতে আহতদের অসহায় চিৎকার—এই কি মানবতার চূড়ান্ত পরিণতি?
গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা, নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা আবারও রক্তে রঞ্জিত! ইসরাইলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি নিহত ও ৬০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কী ঘটছে গাজায়?
💥 ইসরাইলি বাহিনী সেহরির সময় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।
💥 ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষের আটকে থাকার শঙ্কা।
💥 চিকিৎসা সংকটে ২৫টি হাসপাতাল বন্ধ, আহতদের সেবাদানে অক্ষম স্বাস্থ্য বিভাগ।
💥 হামাস বলছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে নিরপরাধ নাগরিকদের হত্যা করছে।
“নিরাপত্তার” নামে যুদ্ধ, বাস্তবে গণহত্যা?
ইসরাইলের দাবি, হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ ছাড়া উপায় নেই। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “যতক্ষণ না আমাদের জিম্মিরা মুক্তি পাচ্ছে, ততক্ষণ লড়াই চলবে!” কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এটি নিছক রাজনৈতিক খেলা।
অন্যদিকে, হামাস নেতা ইজ্জত আল-রিশক বলেন, “নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে জিম্মিদের বলিদান দিচ্ছেন এবং রাজনৈতিক সংকট থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য যুদ্ধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন।”
মানবিক বিপর্যয়ের মুখে গাজা!
🚨 ৩৮টি হাসপাতালের মধ্যে ২৫টি ইতোমধ্যে বন্ধ।
🚨 ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ও অস্ত্রোপচার সুবিধার তীব্র সংকট।
🚨 আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও শয্যা নেই।
কী হবে এরপর?
বিশ্ব সম্প্রদায় কি এই রক্তস্নান থামাতে পারবে? যুদ্ধবিরতি আলোচনার কী হবে? একের পর এক প্রাণ ঝরলেও কূটনৈতিক সমাধানের কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই।
👉 আপনার মত কী? গাজার এই পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববাসী কী করা উচিত? নিচে কমেন্ট করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট