কেন ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীদের বিচার পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে?
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ধীরগতির কারণে ধর্ষণের শিকার অসংখ্য ভুক্তভোগী এখনো ন্যায়বিচার পাননি। মামলার তদন্ত বিলম্বিত হওয়ায় অপরাধীরা অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছে, আর ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচারের আশায় বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন তাই সব ধর্ষণের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মাগুরার শিশু ধর্ষণ মামলা এবং দ্রুত বিচার দাবি
গত শনিবার (৮ মার্চ) মাগুরার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন,
“আমাদের বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রেই তদন্তের বিলম্বের কারণে অপরাধীরা শাস্তি পায় না, আর ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের গোটা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বড় ধরনের গলদ রয়েছে। আমাদের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালকে আরও কার্যকর করে সব ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।”
তদন্তের গড়িমসি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি
🔹 ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের বিচার পেতে গড় সময় ৪-৬ বছর লেগে যায়।
🔹 অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীরা জামিন পেয়ে পালিয়ে যায় বা ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়।
🔹 মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভুক্তভোগীরা হতাশ হয়ে আইনি লড়াই ছেড়ে দেন।
আখতার হোসেন বলেন, “আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রতিটি মামলা দ্রুত তদন্ত করে দ্রুতবিচার আদালতে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তি পায় এবং ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পান।”
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান
আখতার হোসেন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন,
✅ ধর্ষণ মামলার তদন্তের সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
✅ দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
✅ সাক্ষী ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
✅ বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা প্রয়োজন।
আপনার মতামত কী?
আপনি কি মনে করেন, ধর্ষণ মামলাগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা উচিত? আপনার মতামত আমাদের জানাতে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে সচেতনতা বাড়ান!
ধর্ষণের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক—এ দাবির পক্ষে আওয়াজ তুলুন! শেয়ার করুন, সচেতনতা বাড়ান!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট