আপনার পানির গ্লাসে কি সত্যিই বিশুদ্ধ পানি আছে? রাজধানীর মানুষের পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসা কি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে?
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
ঢাকা শহরের জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বিশুদ্ধ পানির চাহিদাও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চাহিদা পূরণে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মান নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের।
ওয়াসার ইতিহাস ও কার্যক্রম
১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা ওয়াসা মূলত ঢাকার পানির সরবরাহ ও নিষ্কাশনের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা। ১৯৯০ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরকেও এর পরিষেবার আওতায় আনা হয়। বর্তমানে, ১১টি ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে ওয়াসা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ২৭০ কোটি লিটারেরও বেশি পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করছে।
পানির উৎপাদন ও চাহিদার পার্থক্য
ঢাকা ওয়াসার মতে, বর্তমানে ঢাকায় প্রতিদিন ২৬৫ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে এবং ওয়াসার উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০-২৭৫ কোটি লিটার। তবে সিস্টেম লস (২০%) বাদ দিলে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিদিন ২০৮ কোটি লিটার পানি পৌঁছায়। ফলে এখনো ৫২ কোটি লিটারের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
রাজস্ব ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম
২০২০-২১ অর্থবছরে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিল বাবদ ওয়াসার আয় ১,৫৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে পানি সরবরাহ থেকে ১,২০১ কোটি টাকা এবং বাকি সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা থেকে আয় হয়েছে।
ওয়াসার চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা
ওয়াসার কার্যক্রম নিয়ে রয়েছে নানা সমালোচনা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (TIB) তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওয়াসার পরিষেবা দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। ঢাকার ৫৭টি অঞ্চলে পানিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ:
✔ বিশুদ্ধ পানির অভাব
✔ বিলের অসঙ্গতি
✔ পানির স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে সমস্যা
✔ পাইপলাইনে লিকেজের কারণে পানি দূষণ
ওয়াসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ওয়াসা জানিয়েছে, নতুন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়ন করে আগামীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। তবে সিস্টেম লস কমানো ও দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া কতটা সম্ভব, সেটাই বড় প্রশ্ন।
আপনার মতামত দিন!
আপনি কি ওয়াসার পানি নিয়ে সন্তুষ্ট? আপনার এলাকার পানির সমস্যা সম্পর্কে আমাদের জানান এবং সচেতনতা গড়ে তুলুন!
📌 আপনার এলাকায় পানির মান কেমন? নিচে কমেন্ট করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট