আপনার ইন্টারনেট ধীরগতির? ঘন ঘন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়? তাহলে আপনার জন্য বড় খবর! বাংলাদেশে শিগগিরই আসছে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা – স্টারলিংক।
সরকার স্টারলিংককে লাইসেন্স দিতে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চলতি সপ্তাহেই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। অনুমোদন পেলেই শুরু হবে লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া।
কেন আলোচনায় স্টারলিংক?
স্টারলিংক ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা, যা পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা ৭,০০০-এর বেশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে।
🔹 দুর্গম অঞ্চলেও ইন্টারনেট: পাহাড়, দ্বীপ বা প্রত্যন্ত গ্রাম – যেখানে ব্রডব্যান্ড পৌঁছেনি, সেখানেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে স্টারলিংক!
🔹 ২২০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি: সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ২২০ এমবিপিএস গতি পাওয়া যাবে স্টারলিংকের মাধ্যমে।
🔹 গ্লোবাল কানেক্টিভিটি: স্টারলিংকের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একই গতির ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
স্টারলিংক চালু হলে খরচ কেমন হবে?
✔ স্টারলিংক কিটের দাম: ৪১,৮৮০ – ৭১,৮৮০ টাকা
✔ মাসিক ফি: ১৪,০০০ টাকা (১২০ ডলার)
বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় খরচ ৫০০ টাকা, যা স্টারলিংকের তুলনায় অনেক সস্তা। ফলে স্টারলিংকের মূল গ্রাহক হতে পারে এমন এলাকা, যেখানে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছায়নি।
স্টারলিংকের জন্য শর্ত কী?
📌 বাংলাদেশ সরকারের জরুরি সহযোগিতায় কাজ করতে হবে।
📌 দেশীয় ইন্টারনেট সেবাদাতাদের (আইআইজি) থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে হবে।
📌 বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ডাটা সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
দেশীয় ইন্টারনেট সেবাদাতাদের উদ্বেগ
বাংলাদেশের ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশনের (আইআইজিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেছেন,
🛑 স্টারলিংককে দেশীয় আইন মেনে চলতে হবে।
🛑 স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
🛑 ভ্যাট ও ট্যাক্স সমানভাবে দিতে হবে।
আপনার মতামত কী?
📢 স্টারলিংক কি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাবে? নাকি এটি শুধু উচ্চবিত্তদের জন্য? আপনার মতামত জানান কমেন্টে!
📢 নতুন আপডেট জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট