🕌 রোজার স্মৃতিতে ফিরে দেখা অতীত
আপনার কি কখনো মনে হয়েছে, আগের দিনের রমজান মাস কেমন ছিল? কেমন ছিল সাহ্রি, ইফতার, তারাবিহ, আর সেই সময়ের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি? আজ আমরা ফিরে যাব সেই সময়ের রোজার স্মৃতিতে!
🌙 চাঁদ দেখা আর উৎসবের আমেজ
আগেকার দিনে রমজানের চাঁদ দেখা ছিল বিশাল এক আয়োজন। বাড়ির ছাদে, গাছের ডালে উঠে, কেউবা নৌকায় মাঝ নদীতে গিয়ে চাঁদ দেখার চেষ্টা করত। চাঁদ দেখা মাত্রই শুরু হতো উৎসবের আমেজ—টোপধ্বনি, বন্দুকের গুলি আর মিছিলে মুখরিত হতো পরিবেশ।
🕌 তারাবিহ আর মসজিদের প্রাণচাঞ্চল্য
রমজান মাস মানেই মসজিদে মুসল্লিদের ঢল। বিশেষত প্রথম তারাবিহ ও ২৭ রমজানের রাতে মসজিদ থাকত কানায় কানায় পূর্ণ। মুসল্লিদের জন্য দুধ-শরবত, মিষ্টান্ন ও বিরিয়ানি বিতরণের চল ছিল।
🕰️ কাসিদা গেয়ে সাহ্রিতে ডাক
সাহ্রির জন্য ঘুম থেকে জাগাতে তখনকার যুবকরা দল বেঁধে গজল ও কাসিদা গাইতো। বিখ্যাত কাসিদাগুলোর মধ্যে ছিল,
🎶 “আল্লাহ্ কা বান্দেকো হাম আয়ে জাগানে কো”
🎶 “রোজদারও জাগো ওঠো, এ রাত সোহানি হ্যায়”
এই ঐতিহ্য সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেলেও পুরান ঢাকায় এখনো কিছু জায়গায় কাসিদার দল দেখা যায়।
🍽️ সেকালের ইফতার: কী ছিল মেনুতে?
আগে ইফতার করাকে বলা হতো “রোজাখোলাই”। ধনাঢ্য পরিবারগুলো জমজমের পানি দিয়ে শরবত তৈরি করত। এছাড়া জনপ্রিয় ছিল:
✅ নান তাফতান, শিরমাল, শামি কাবাব, টিকা কাবাব
✅ বিরিয়ানি, পোলাও, হালিম, মুসাল্লাম কাবাব
✅ পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, তেঁতুল-গুড়ের শরবত
💝 রমজানের উপহার বিনিময়
রমজানে আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ইফতার পাঠানোর রীতি ছিল। বিয়ের পর প্রথম রমজানে কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে ইফতার পাঠানো ছিল বাধ্যতামূলক!
🛑 আজকের রমজান বনাম আগের রমজান
আগের দিনে রোজার আমেজ ছিল ভিন্ন। ইফতার ছিল সাধারণ কিন্তু আন্তরিক, মানুষের মধ্যে ছিল বেশি একতা ও সৌহার্দ্য। এখনকার ব্যস্ত জীবনে সেই ঐতিহ্য কি আমরা ধরে রাখতে পারছি?
💡 আপনার রমজান কেমন কাটছে?
👉 আপনার শৈশবের রমজানের স্মৃতি আমাদের জানান!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট