আপনি কি জানেন, প্রতিদিন যেটা দিয়ে গোসল করেন, সেই সাধারণ ‘সাবান’-এর ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো? আজকের আধুনিক জীবনের এই অপরিহার্য জিনিসটি এক সময় ছিল রাজকীয় পরিচ্ছন্নতার প্রতীক।
সাবান কি শুধু পরিষ্কার করার উপাদান? না, এর পেছনে আছে ধর্ম, বিজ্ঞান, ইতিহাস, এমনকি বাণিজ্যের দীর্ঘ পথচলা।
প্রাচীন সুমেরীয় ও মিশরীয়রা খ্রিস্টপূর্ব ২৮০০ সালেও পশুর চর্বি ও ছাই মিশিয়ে সাবানের মতো পরিষ্কারক তৈরি করতেন। রোমানদের ‘সোপ’ থেকে আসে ‘Soap’ শব্দটি, যা তারা কাপড় ও শরীর ধোয়ার কাজে ব্যবহার করত।
ইসলামী সভ্যতা এই চর্চাকে আরও এগিয়ে নেয়। আব্বাসীয় যুগে হারুন অর রশিদের সময় মুসলিমরা অলিভ অয়েল, ক্ষার ও সুগন্ধি দিয়ে এমন সাবান তৈরি করে, যা আজকের হার্ড সোপের পূর্বসূরি বলা চলে।
মধ্যযুগে ইউরোপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় পিছিয়ে থাকলেও মুসলিমদের অনুপ্রেরণায় তারা আবার সাবান উৎপাদনে মনোযোগ দেয়। ১৮শ ও ১৯শ শতকে আসে বাণিজ্যিক সাবান উৎপাদনের যুগ—নানা রকম সুগন্ধি ও রঙে বাজারে আসে ব্র্যান্ডেড সাবান।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা যখন “সাবান তৈরির উপাদান”, “সাবান প্রস্তুতি”, কিংবা “সাবান কি” এসব নিয়ে ভাবি, তখন হয়তো বুঝতেই পারি না – এটা কেবল একটি পরিষ্কারক নয়, বরং সভ্যতার ধারক।
শেষ কথাঃ
শরীরের পরিচ্ছন্নতা এখন তো মাত্র একটা বাটনের দূরত্বে! কিন্তু এর পেছনে আছে হাজার বছরের চেষ্টার গল্প। আপনি কি জানতেন এসব? যদি নতুন কিছু শিখে থাকেন, তাহলে এই তথ্য বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন – কারণ জ্ঞানও ছড়িয়ে দিলে ফুলে ফেঁপে ওঠে!
আপনিও কি জানতে চান বাংলাদেশে প্রথম কোন ব্র্যান্ড সাবান তৈরি করেছিল? নিচে কমেন্ট করুন—আমরা আপনাকে জানাবো।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট