রাত গভীর হয়, ঘুম আসে না? চোখে ঘুম নেই, মনে ক্লান্তি? প্রতিদিনের এই যন্ত্রণার শেষ কোথায়?
রাতের ঘুম ঠিক না থাকলে শুধু চোখের নিচে কালি নয়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়, মন হয় ভারি, শরীর ক্লান্ত আর ভবিষ্যৎ হয় অনিশ্চিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—৫০ বছরের পর রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুম মানেই ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৩০% বাড়ে!
এইভাবে ঠিক করুন রাতের ঘুমের রুটিনঃ
১. স্নায়ুর ওপর চাপ কমান
ঘুমের আগে গরম পানিতে গোসল, ধ্যান, অথবা সফট মিউজিক মস্তিষ্ককে শান্ত করে। অ্যাড্রেনালিন কমে যায়, ঘুম আসে সহজে।
২. দেহঘড়ি অনুযায়ী জীবনযাপন করুন
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান, আবার নির্দিষ্ট সময়েই উঠুন। এতে আপনার বডি ক্লক (Circadian Rhythm) স্থির থাকে, ঘুমে আসে নিয়ম।
৩. দিনে ৩০ মিনিটের ‘পাওয়ার ন্যাপ’
দুপুরে ৩০ মিনিট ঘুম শরীরকে চনমনে করে তোলে। কিন্তু ১ ঘণ্টার বেশি হলে রাতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৪. ‘সিবিটি’ মানে ঘুমের থেরাপি
Cognitive Behavioral Therapy (CBT) ঘুমের জন্য ভয়, বিরক্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলে।
৫. ঘুমের আগে এই কাজগুলো বন্ধ করুন
-
চা, কফি, কোল্ড ড্রিংকস
-
মোবাইল স্ক্রলিং
-
নীল আলো (টিভি, ল্যাপটপ)
-
অতিরিক্ত আলো বা শব্দ
৬. বিছানায় যাওয়ার আগে ছোট একটি রিচুয়াল করুন
হালকা বই পড়া, কিছু লিখে রাখা, অথবা একটু শ্বাস প্রশ্বাস অনুশীলন ঘুমের জন্য মস্তিষ্ককে তৈরি করে।
👉 আজ রাতেই একটা রুটিন ঠিক করুন। ৭ ঘণ্টা গভীর ঘুম মানেই শুধু বিশ্রাম নয়—একটি ভালো আগামীকাল!
নিজের ঘুম ঠিক করুন, পরিবার-শরীর-মস্তিষ্ক—তিনটাই ভালো থাকুক!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট