রোগী আছেন, চিকিৎসার সরঞ্জামও আছে—কিন্তু নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক!
প্রতিদিন শত শত রোগী আসছেন চিকিৎসা নিতে, কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেকে ফিরে যাচ্ছেন সেবা না পেয়ে। চিকিৎসাসেবার এই সংকট ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
“চিকিৎসা নিতে এসে অপেক্ষার প্রহর গুনছি!”
বয়স ষাটোর্ধ্ব সুবহান, এসেছেন চর্মরোগ নিয়ে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছেন না। তিনি হতাশ কণ্ঠে বলেন,
💬 “৩০ জন রোগী ছিল, এখন শুধু আমি একা বসে আছি। হাসপাতাল আড়াইটার পর বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসক না থাকলে কীভাবে রোগীরা সেবা পাবে?”
“চিকিৎসক না থাকায় ভেঙে পড়ছে হাসপাতালের কার্যক্রম”
ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. আম্মাতে নূর ওয়াহিদা সুলতানা বলেন,
💬 “অল্প সংখ্যক চিকিৎসক নিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। বারবার জানানো হলেও জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি!”
চিকিৎসক সংকটের ভয়াবহ চিত্র:
📌 সার্জারি, গাইনি, রেডিওলজি বিভাগে থাকার কথা ৭ জন, আছেন মাত্র ৪ জন।
📌 মেডিকেল অফিসারের ১৯টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১০ জন।
📌 ডেন্টাল সার্জন, মেট্রন, রেসিডেন্ট সার্জন—অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা!
হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০ থেকে ১৫০ করা হলেও চিকিৎসক নিয়োগ না হওয়ায় সেবার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
“আমাদের ইনস্ট্রুমেন্টস আছে, কিন্তু চিকিৎসক নেই!”
ডা. আম্মাতে নূর ওয়াহিদা বলেন,
💬 “করোনাকালে হাসপাতালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিদিন ৩০০-৩৫০ জন রোগী আসেন। আমাদের ইনস্ট্রুমেন্টস আছে, কিন্তু পর্যাপ্ত ম্যান পাওয়ার নেই!”
জনসাধারণ কী ভাবছে?
⚠ “চিকিৎসা পাওয়া নাগরিক অধিকার। জনবল সংকটের এই অবস্থা দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত!”
⚠ “জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে হাসপাতাল চলে, তাহলে আমরা কেন চিকিৎসা পাব না?”
সমাধান কী?
✅ সরকারের উচিত দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
✅ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া।
✅ জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাতে রোগীদের কষ্ট কমে।
আপনার মতামত দিন!
📢 এই সংকট সমাধানে আপনার পরামর্শ কী? কমেন্টে জানান!
📢 নতুন আপডেট জানতে ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট