আপনি কি কখনও ভেবেছেন—যে ওষুধটি সর্দি-জ্বর, ব্যথা বা জ্বর কমাতে ঘরে ঘরে রাখা হয়, সেই নাপা ওষুধের পেছনের গল্প কী?
বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধের একটি হলো নাপা (Napa)। এটি মূলত প্যারাসিটামল (Paracetamol) ভিত্তিক একটি ওষুধ। জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যার দ্রুত উপশমে নাপা খুবই কার্যকর।
ইতিহাসের শুরু
নাপার ইতিহাস শুরু হয় বাংলাদেশের নিজস্ব ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (SKF)-এর হাত ধরে। ১৯৮০ দশকে নাপা বাজারে আসে প্যারাসিটামলের ব্র্যান্ড হিসেবে। সহজলভ্যতা, কার্যকারিতা এবং সাশ্রয়ী দামের কারণে এটি অল্প সময়েই জনসাধারণের আস্থাভাজন ওষুধ হয়ে ওঠে।
প্যারাসিটামলের শেকড়
নাপা যেহেতু প্যারাসিটামল ভিত্তিক, এর মূল উপাদান প্যারাসিটামলের ইতিহাসও গুরুত্বপূর্ণ। প্যারাসিটামল প্রথম তৈরি হয় ১৮৭৭ সালে। তবে এটি চিকিৎসাক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবহার শুরু হয় ১৯৫০ এর দশকে। বিশ্বের বহু দেশে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন Tylenol, Panadol, Crocin ইত্যাদি। বাংলাদেশে এই প্যারাসিটামলকেই নাপা নামে জনপ্রিয় করেছে এসকেএফ।
নাপার বিভিন্ন রূপ
নাপা শুধু বড়ি নয়, বরং নাপা এক্সট্রা (ক্যাফেইন যুক্ত), নাপা সিরাপ (শিশুদের জন্য), নাপা স্যুপোজিটরি, নাপা র্যাপিড (দ্রুত কার্যকর) ইত্যাদি রূপে বাজারে পাওয়া যায়।
জনপ্রিয়তার কারণ
-
✅ জ্বর ও ব্যথা কমাতে কার্যকর
-
✅ সহজলভ্য ও কম দামে পাওয়া যায়
-
✅ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলক কম
-
✅ শিশু ও বড়দের জন্য আলাদা ডোজ
সতর্কতা
নাপা ওষুধ নিরাপদ হলেও অতিরিক্ত সেবনে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বিপজ্জনক।
নাপা এখন শুধু একটি ওষুধ নয়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। তবে মনে রাখতে হবে—নাপা ব্যবহারে সচেতনতা যেমন দরকার, তেমনি দরকার সঠিক জ্ঞানও।
আপনি নাপা কখন ব্যবহার করেন? আপনার অভিজ্ঞতা নিচে জানিয়ে দিন—সবার উপকারে আসতে পারে!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট