পিরিয়ডের ব্যথায় প্রতিবারই কষ্ট পাচ্ছেন? কখন ঘরোয়া উপায় কাজে লাগবে আর কখনই বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি?
প্রায় প্রতিটি নারীর জীবনেরই সাধারণ একটি অংশ হলো পিরিয়ড। কিন্তু এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তীব্র ব্যথা অনেকের জন্য রীতিমতো দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ১৪ থেকে ৪০ বছরের মেয়েরা এই যন্ত্রণার শিকার বেশি হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. সাহানারা চৌধুরী জানান, পিরিয়ডের ব্যথা দুই রকম—
১️⃣ প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া:
যেখানে পিরিয়ড শুরুর আগেই পেটব্যথা শুরু হয় এবং ১ দিন পর কমে যায়।
২️⃣ সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া:
যেটা মূলত জরায়ুতে টিউমার, এন্ডোমেট্রিওসিস বা ইনফেকশনের কারণে হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী ও যন্ত্রণাদায়ক হয়।
ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে ব্যথা কমাতে পারেন:
✅ গরম পানির ব্যাগ পেটে সেঁক দিন।
✅ আদা চা বা কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন।
✅ হালকা ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করুন।
✅ পর্যাপ্ত পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে ভুলবেন না।
✅ মানসিক চাপ কমান ও ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন।
❌ সতর্ক হোন যখন:
-
ব্যথা খুব বেশি তীব্র হয়
-
প্রতিবারই ব্যথা বাড়ে এবং জীবনযাপন ব্যাহত হয়
-
ব্যথানাশক ওষুধেও উপশম হয় না
👉 এমন হলে অবশ্যই গাইনী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটি এন্ডোমেট্রিওসিস, টিউমার, এমনকি পেলভিক ইনফেকশন–এর লক্ষণ হতে পারে।
🔴 অনেকেই ব্যথা কমাতে নিজে থেকেই পেইন কিলার খান, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন— এই ভুলে আপনি রোগকে চাপা দিলেও মূল সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলছেন।
“পিরিয়ডে যন্ত্রণামুক্ত থাকতে এই তথ্যটি এখনই শেয়ার করুন—হয়তো আপনার কোনো বন্ধু আজই উপকৃত হবেন।”
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট