রমজান আসার আগে আপনার প্রস্তুতি কেমন? সাহাবিদের মতো আপনি কি ছয় মাস আগে থেকেই এই পবিত্র মাসের জন্য অপেক্ষা করেন?
সাহাবায়ে কিরাম (রা.) রমজানকে শুধু একটি মাস হিসেবে দেখতেন না, বরং এটিকে আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ অধ্যায় হিসেবে গ্রহণ করতেন। তাঁরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতেন, যেন রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে কাটে।
সাহাবিদের রমজান প্রস্তুতির বিশেষ দিক:
🌙 রমজানের আগমনে আনন্দ: সাহাবিরা রমজানের খবর শুনলেই উচ্ছ্বসিত হতেন, নবীজি (সা.) তাঁদের রমজানের সুসংবাদ দিতেন।
🔎 চাঁদ দেখার উদগ্রীব প্রতীক্ষা: রমজানের চাঁদ দেখার জন্য তাঁরা রাতের আঁধারে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন, যাতে ইবাদতের মাসের সূচনা করা যায়।
🛐 বিগত রোজার কাজা আদায়: রমজানের আগে আগের বছরের ছুটে যাওয়া রোজা রাখতেন, যেন নতুন রমজানকে গুনাহমুক্ত অবস্থায় স্বাগত জানাতে পারেন।
🤲 ছয় মাস আগে থেকেই দোয়া: সাহাবিরা ছয় মাস আগে থেকেই দোয়া করতেন, আল্লাহ যেন তাঁদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দেন এবং ছয় মাস পরে দোয়া করতেন যেন তাঁদের ইবাদত কবুল হয়।
💖 শাবান মাসে নফল রোজার অভ্যাস: তাঁরা শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন, যেন রমজানে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়।
আপনি কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
সাহাবিদের মতো রমজানকে স্বাগত জানাতে আপনিও কি আগেভাগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
📖 নফল রোজা রাখা
🕌 ইবাদত বাড়ানো
🤲 তওবা ও দোয়া করা
💞 গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা
আপনার পরিকল্পনা কী?
রমজানের আগমনের জন্য আপনি কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? কমেন্টে জানান ও এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট