আপনি কি কখনো ভেবেছেন, আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে এত আলোচনা কেন হয়? কেন বারবার বলা হয় “সুষ্ঠু নির্বাচন চাই”?
🔎 বাস্তবতা যেটা চোখে পড়ে
বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই যেন বিরোধ, বিতর্ক আর প্রশ্নবিদ্ধ ফলাফল। একপক্ষ বলে ভোট হয়েছে ভালোভাবে, আরেকপক্ষ বলে ‘ভোট আগের রাতেই হয়ে গেছে’!
২০১৪ সালে দেখা গেল ১৫৩ জন এমপি ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ জিতলেন! আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরিচিতি হয়ে উঠলো “আগের রাতেই ভোট”।
💡 তাহলে কি সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব?
একদম না! কিন্তু বাস্তবতা কঠিন। যেদিন রাজনৈতিক দলগুলো সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটকে সম্মান করবে, এবং নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে, সেদিনই আমরা সত্যিকারের সুষ্ঠু নির্বাচনের কাছাকাছি যেতে পারবো।
🔁 পেছনে ফিরে দেখি
১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ – এই তিনটি নির্বাচন হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তখনকার ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক, আর মানুষ ভোট দিতে পেরেছিল স্বাধীনভাবে।
কিন্তু ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর থেকেই নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে।
💭 তাহলে করণীয় কী?
নতুন নির্বাচন কমিশনের উচিত শুধুই আলাপ-আলোচনায় না থেকে, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার জায়গা তৈরি করা। এবং সবচেয়ে বড় কথা—সরকারকে বুঝতে হবে, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনই স্থিতিশীল উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।
আপনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপর। এখনই জানুন নির্বাচন কমিশন কী করছে এবং মতামত দিন—কারণ, এ দেশ আপনারও।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট