একজন শ্রমিক নেতার মুক্তির জন্য পুরো থানা ঘেরাও! কিন্তু কেন?
গাজীপুরে আটক শ্রমিক নেতা আল আমিনকে ছাড়িয়ে নিতে থানার সামনে বিক্ষোভে উত্তাল হলো হাজারো পোশাক শ্রমিক। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা একযোগে থানার গেট ঘেরাও করলে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
📌 ঘটনার সময়:
➡️ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিক নেতা আল আমিনকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন ব্যক্তি।
➡️ তাকে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
➡️ পরে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
➡️ খবর পেয়ে বিকেলে কয়েক হাজার শ্রমিক থানার সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
➡️ চাপে পড়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
⚠️ কি ঘটেছিল ঠিক?
🛑 আল আমিনের অভিযোগ:
✅ দীর্ঘদিন ধরে একদল চাঁদাবাজ তার কাছে টাকা দাবি করে আসছিল।
✅ টাকা না দেয়ায় তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং ছুরির মুখে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
✅ পরে পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে ডেকে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
✅ তাকে “আওয়ামী লীগের দোসর” বলে রাজনৈতিক পরিচয় তৈরি করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা।
🛑 অন্যপক্ষের বক্তব্য:
✅ ‘অভ্যুত্থানকারী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ সংগঠনের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
✅ আল আমিন নিজেই গুজব ছড়াচ্ছেন।
✅ থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে আসামিকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি।
📌 কেন এ নিয়ে এত উত্তেজনা?
🔥 পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন দিন দিন বাড়ছে।
🔥 গাজীপুরের শ্রমিক এলাকা বরাবরই উত্তপ্ত, যেখানে ছোট ঘটনা থেকেও বড় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
🔥 পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে – কেন তারা এত সহজে একজন আসামিকে ছেড়ে দিল?
⚠️ এখন পরিস্থিতি কেমন?
🛑 থানা ঘেরাওয়ের পর পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
🛑 পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
🛑 শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট