আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার কতটা নিরাপদ? আইন ও বিচার বিভাগ কি সত্যিই আমাদের সুরক্ষা দিচ্ছে, নাকি আমরা এক অদৃশ্য সংকটের মধ্যে রয়েছি?
বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যা বিচার বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে মোঃ গোলাম সরোয়ার এই বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আইন ও বিচার বিভাগ: একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মন্ত্রণালয়টিকে দুটি বিভাগে ভাগ করে: আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগ। এর উদ্দেশ্য ছিল বিচার বিভাগের কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করা।
২০১৮ সালে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ চালু করা হয়। এটি বিচারিক সেবার মান পর্যবেক্ষণ এবং সেবার উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
আইন ও বিচার বিভাগের কার্যক্রম ও বাজেট
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৭.৪ বিলিয়ন টাকা। এই বাজেট ব্যবহার করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট, আইন কমিশন, জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা, নিবন্ধন অধিদপ্তর, এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উন্নয়নে।
বিতর্কিত সিদ্ধান্ত: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হুমকির মুখে?
২০২০ সালের ৬ মার্চ, বাংলাদেশ হাইকোর্ট আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে ব্যাখ্যা দিতে বলে কেন গাজীপুরের দায়রা জজ মোঃ আব্দুল মান্নানকে হঠাৎ অপসারণ করা হয়। আদালত পর্যবেক্ষণ করে যে তিনি সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রীকে দুর্নীতির মামলায় সাজা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পদ হারান। এটি কি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার লঙ্ঘন? নাকি এটি রাজনৈতিক চাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত?
এ ধরনের বিতর্ক সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন তোলে—আমাদের বিচার ব্যবস্থা কি সত্যিই স্বাধীন?
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ন্যায়বিচার: নতুন উদ্বেগ
বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, এই আইন একদিকে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে, অন্যদিকে এটি মুক্ত চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আপনার কী মত? আইন ও বিচার ব্যবস্থা কি সত্যিই নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে পারছে, নাকি এর অপব্যবহার হচ্ছে?
📢 আপনার মতামত দিন!
আমাদের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? আপনি কি মনে করেন আইন ও বিচার বিভাগ স্বচ্ছভাবে কাজ করছে? আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন বা শেয়ার করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট