আপনার শিশুটি বড় হয়ে কেমন মানুষ হবে—এটা কি কেবল স্কুল ঠিক করবে? নাকি আপনার ছোট ছোট অভ্যাসই গড়ে দেবে তার মস্তিষ্কের ভিত?
একজন শিশু প্রথম শেখে তার পরিবারের কাছ থেকেই। তার চিন্তা-ভাবনা, মূল্যবোধ, আত্মবিশ্বাস—সবকিছুর ভিত্তি গড়ে দেয় মা-বাবা, দাদা-দাদি, ভাই-বোনদের প্রতিদিনের আচরণ। গবেষক জিন পাইগেটের মতে, ৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু সাধারণত আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতায় থাকে। তাই এই সময়টাতেই দরকার সঠিক দিকনির্দেশনা।
শিশুর মানসিক বিকাশে পরিবারের ভূমিকা যেন অব্যক্ত এক পাঠশালা। আপনি জানেন কি, ভুল করলে বকুনি না দিয়ে তাকে অপকারিতা বুঝিয়ে বললে সে দায় নিতে শেখে? শিশুকে নিখুঁত হওয়ার চেয়ে সৎ ও পরিশ্রমী হতে শেখান, কারণ নিখুঁততা নয়—মানবিকতা তাকে আলোকিত মানুষে রূপান্তর করবে।
শুধু পরীক্ষার রেজাল্ট নয়, শেখার আনন্দ, আচরণগত পরিবর্তন, ছোটখাটো দায়িত্ব পালন—এসবই শিশুর বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। স্কুল থেকে ফিরে কী শিখেছে, জানতে চান কি? তাহলে তাকে শোনার মতো করে সময় দিন, যেন আপনাকেই বিশ্বাসের মানুষ ভাবতে পারে।
ঘুরতে নিয়ে যান, ভালো বই উপহার দিন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিন, এবং তার ভেতরে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলুন। শিশুকে কখনো উপহাস করবেন না, কারণ উপহাস জন্ম দেয় ভয় আর হীনমন্যতা। তার বদলে উৎসাহ দিন, প্রশংসা করুন এবং সৃজনশীলতা বিকাশে তাকে স্বাধীনতা দিন।
পরিবারই পারে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তাকে একজন সহযোগিতা–প্রবণ, মেধাবী ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে।
আপনার সন্তান যেন শুধু বড় নয়, ভালো মানুষ হয়—এই ভাবনাটা আজ থেকেই শুরু করুন। এখনই এই লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে, যারা একটি আলোকিত প্রজন্ম গড়তে আগ্রহী।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট