আপনার ছোট্ট সোনামণি ঠিকমতো পুষ্টি পাচ্ছে তো? যদি নিশ্চিত না হন, তবে এখনই শিশুর বয়স অনুযায়ী সঠিক খাবারের রুটিন তৈরি করা জরুরি!
নবজাতকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো মায়ের দুধ। জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই দুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধই যথেষ্ট। অন্য কোনো খাবার বা পানীয় একেবারেই নয়।
ছয় মাসের পর, মায়ের দুধের পাশাপাশি শুরু করুন নরম খাবার। নরম খিচুড়ি, ভাত, মাছ-মাংস বা শাকসবজি চটকে দিনে দুবার অল্প পরিমাণে খাওয়ান। মনে রাখবেন, খাবারের আগে মা ও শিশুর হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
নবম মাসে এসে খাবারের পরিমাণ বাড়ান। দিনে তিনবেলা খাবারের সাথে দুবেলা পুষ্টিকর নাশতা দিন। শিশুকে ধীরে ধীরে নিজে নিজে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
এক বছর পূর্ণ হলে, শিশুকে পরিবারের সবার সাথে বসে এক বাটি ভাত, সবজি, মাছ/মাংস খাওয়ার উৎসাহ দিন। পাশাপাশি মায়ের দুধ চালিয়ে যান ও দুইবার হালকা নাশতা দিন।
দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সে, রুটিন হবে আরেকটু গোছানো—সকালে রুটি বা ডিম, দুপুরে ভাত-ডাল-মাছ-মাংস আর বিকেলে পুষ্টিকর স্ন্যাক্স। রাতের খাবারও যথেষ্ট পুষ্টিকর হতে হবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা: চিপস, চকোলেট, আইসক্রিম বা জাংক ফুড নয়, বরং ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারই শিশুর সঠিক বিকাশের চাবিকাঠি।
আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ আজই গড়ে তুলুন — সঠিক খাবারের রুটিনে শুরু করুন তার সুস্থ জীবনের যাত্রা! এখনই এই গাইডটি প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট