“তোমার বয়স তো পার হয়ে যাচ্ছে, এখনো বিয়ে করোনি?”
“ফিগারটা এমন হলো কীভাবে?”
“ওর চাকরি তো তুমিই পেতে পারতে, পিছিয়ে পড়লে কিভাবে?”
এই কথাগুলো কি আপনাকেও শুনতে হয়? কষ্ট লাগে, মন খারাপ হয়, এমনকি নিজের উপর সন্দেহ জন্মায়? আপনি একা নন।
🔍 আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ‘উপদেশ’ নামের মোড়কে আঘাত করেন। কখনো ইচ্ছে করে, কখনো নিজের হতাশা ঢাকতে। আর সেই কথার বিষে ভেঙে পড়ে অনেক সুন্দর মন।
কিন্তু কেউ কষ্ট দিলে কি করবো? নিজেকে সেই কথার আঘাত থেকে কীভাবে বাঁচাবো?
চলুন জেনে নিই, সহজ কিছু উপায়—যা মেনে চললে আপনি নিজের সম্মান আর মানসিক শান্তি দুটোই রক্ষা করতে পারবেন।
কথার আঘাত থেকে বাঁচার ৭টি শক্তিশালী উপায়
১️⃣ নিজেকে জানুন, নিজের শক্তি চিনুন
আপনি জানেন আপনি কে। নিজের পথ নিজের মতো করে চলুন। অন্যের কথায় নিজের সিদ্ধান্ত নষ্ট করবেন না।
২️⃣ প্রতিটি কটু কথার পেছনে কারণ থাকতে পারে
যিনি আঘাত করছেন, তিনি নিজেই হয়তো গভীর হতাশায় ভুগছেন। এটা ভেবে নিন, সব কথা আপনার জন্য নয়—তাঁর ভেতরের কষ্টের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
3️⃣ কথাকে গায়ে না মাখার অনুশীলন করুন
‘পাত্তা না দেওয়া’ এক মহারথীর ক্ষমতা। কারো কথা বিরক্তিকর হলে, চুপচাপ অন্যদিকে তাকান বা মুচকি হেসে অন্য প্রসঙ্গে চলে যান।
4️⃣ ভদ্রভাবে জবাব দিন (যদি প্রয়োজন হয়)
“আপনার এই মন্তব্যটা কি আমাকে কিছুটা কষ্ট দিচ্ছে, আপনি বুঝতে পারছেন?” — এমন প্রশ্ন অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়।
5️⃣ হালকা করে হাসির ছলে উত্তর দিন
“আহা! এই শরীরটাই তো আমার আর্ট প্রজেক্ট!” — এমন মজার উত্তর কটু কথা থামাতে পারে হাসির মধ্যেই।
6️⃣ মাফ করে দিন, ভুলে যান
আপনার শান্তির জন্যই ক্ষমা জরুরি। মনে রাখবেন, অন্যের কথার ভার আপনি বহন করছেন মানেই আপনি কষ্ট নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন।
7️⃣ শিক্ষা নিন—আপনি যেন কখনো কারও এমন কষ্ট না বাড়ান
যে কথায় আপনি কষ্ট পেয়েছেন, তা যেন আপনি কখনো কাউকে না বলেন। এটা আপনার মানবিকতার প্রতিচ্ছবি হবে।
মনের মানুষ কষ্ট দিলে সেই ব্যথা সবচেয়ে গভীর হয়। কিন্তু আপনি যদি নিজেকে ভিতর থেকে শক্ত করেন, তাহলে কেউই আপনাকে সহজে ভাঙতে পারবে না।
সত্যিকারের আত্মশক্তিই সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা।
আপনি কি সাম্প্রতিক সময়ে এমন কারো কথায় কষ্ট পেয়েছেন?
👉 নিচে কমেন্টে লিখুন, আজ থেকে আপনি নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবেন—চলুন একসাথে শুরু করি নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার যাত্রা।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট