একটি শিশুর চরিত্র, মনোভাব এবং মূল্যবোধ গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কার? পরিবার না স্কুল? এ প্রশ্নটি নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক দেখা দেয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো—দুই ক্ষেত্রেরই আছে নিজস্ব গুরুত্ব, তবে একটিই থাকে ভিত্তির মত শক্তিশালী।
🏠 পারিবারিক শিক্ষা:
জন্মের পর শিশুর প্রথম শিক্ষক হলো তার বাবা-মা। শিষ্টাচার, সম্মানবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, মানবিকতা, সহানুভূতি, ধৈর্য, ও দায়িত্ববোধ—এসব শেখা হয় ঘরের ভিতরেই। একটি শিশুর মনোজগতে প্রথম যে কথাগুলো দাগ কাটে, তা আসে মা–বাবার আচরণ, কথা ও অভ্যাস থেকে।
শিশুরা যা দেখে তাই শেখে—তাই পারিবারিক পরিবেশ যদি আদর্শ হয়, তবে সেই শিশু ভবিষ্যতে হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ।
🏫 স্কুল শিক্ষা:
স্কুল শেখায় নিয়ম, সময়নিষ্ঠতা, বইয়ের জ্ঞান, শৃঙ্খলা ও সামাজিকতা। শিশুরা বন্ধুদের সঙ্গে মিশে শেখে সহযোগিতা, নেতৃত্ব, প্রতিযোগিতা ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস। শিক্ষকগণ সঠিক নির্দেশনার মাধ্যমে শিশুদের একাডেমিক পথ দেখান। তবে একথা সত্য—যদি পারিবারিক ভিত্তি দুর্বল হয়, তবে স্কুলে ভালো শেখানো সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে কাজে আসে না।
🔁 পারস্পরিক সম্পর্ক:
স্কুল শিক্ষা একটি কাঠামো তৈরি করে, কিন্তু সেই কাঠামোর ভিত্তি যদি পারিবারিক শিক্ষায় দুর্বল থাকে, তাহলে শিশুর শেখা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আবার পরিবার যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়, কিন্তু শিক্ষিত সমাজে প্রবেশ না করে, তবে শিশুর বিকাশ সীমিতই থেকে যায়।
🎯 উপসংহার:
পারিবারিক শিক্ষা হলো ‘মূল’ আর স্কুল শিক্ষা হলো ‘পানি ও আলো’। গাছটা বড় হবে তখনই, যখন দুটিই থাকবে সঠিক ভারসাম্যে।
আপনার সন্তানকে শুধু ভালো স্কুলেই না, ভালো পরিবারিক শিক্ষাও দিন। পরিবারই তার প্রথম স্কুল।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট