আপনি কি কখনো এমন কিছু বলে ফেলেছেন যা পরে মনে হয়েছে—’আহ! এটা না বললেই হতো’?
আমরা অনেকেই বুঝে উঠি না—অপ্রয়োজনে বেশি কথা বলার পরিণতি কতটা ভয়ানক হতে পারে। শুধু পার্থিব জীবন নয়, আখিরাতেও এর বড় ক্ষতি হতে পারে।
ইসলাম শিক্ষা দেয়, যখন বলার মতো কিছু না থাকে, তখন চুপ থাকাই উত্তম। রাসুল (সা.)-এর বাণী অনুযায়ী—”যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে।” (বুখারি, মুসলিম)
🛑 বেশি কথা বললে যে বিপদ হতে পারে:
1️⃣ ভুল বেশি হয়:
যত বেশি বলবেন, তত বেশি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা। আর সেই ভুলের দায় আপনার ওপরই আসবে।
2️⃣ মন্দ কথার ভয়াবহ শাস্তি:
একটি কথাও হতে পারে এমন, যা জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিতে পারে। রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো একজন ব্যক্তি এমন কথা বলে, যার পরিণতি সম্পর্কে তার ধারণা নেই—কিন্তু তাতে সে জাহান্নামে পতিত হয়। (মুসলিম)
3️⃣ আত্মসম্মান ও মর্যাদা কমে:
নিরর্থক ও বিরক্তিকর কথা বললে মানুষের শ্রদ্ধা কমে যায়।
✅ তাহলে কী করবো?
-
প্রয়োজন ছাড়া কথা বলবেন না
-
নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখার অভ্যাস গড়ুন
-
কম কথা বলার কৌশল শিখুন (যেমন: প্রশ্ন শুনে বিরতি দিন, না বললেও সমস্যা হয় না এমন জায়গায় চুপ থাকুন)
-
প্রতিদিন আত্মসমালোচনা করুন—আজ অপ্রয়োজনীয় কিছু বলেছি কি?
📣 আপনি যদি চান নিজেকে একজন পরিপক্ব, সংযমী ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে—তাহলে আজ থেকেই নিজের জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে আনুন।
“আপনার কাছের মানুষদেরও জানান—অতিরিক্ত কথা বলার ফল হতে পারে বিপদজনক! এই পোস্টটি এখনই শেয়ার করুন।”
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট