ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মা’র হাতের সেমাই না পেলে কেমন লাগে বলুন তো? কিংবা ভাই-বোনদের হাসিমুখ, বাড়ির উঠানে নতুন জামার আনন্দ—এসব ছাড়া ঈদ কি আর ঈদের মতো থাকে?
কিন্তু টাকার প্রয়োজন আর পরিবারের দায়িত্ব অনেক সময় মানুষকে এমন এক অবস্থানে দাঁড় করায়, যেখানে আনন্দ নয়, প্রয়োজনই প্রধান হয়ে ওঠে।
ঢাকার রাস্তায় ঈদের দিন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা বাসায় নয়, থাকেন রিকশার হ্যান্ডেলে। শফি, আজম আর আয়ুব—তিনজনেই রিকশা চালান। তিনজনেই জানেন গ্রামের ঈদের রঙ কেমন। কিন্তু আজ ঈদের দিনও তারা ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় রিকশা চালাচ্ছেন।
🎯 কেন? কারণ পরিবারকে টাকা পাঠাতে হবে। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে হবে। বৃদ্ধ বাবার ওষুধ কিনতে হবে।
শফি থাকেন খিলগাঁও চৌরাস্তায়, গ্রাম রংপুর। তিনি বলেন, “ভাড়ার রেট এই সময় একটু বেশি পাই, তাই পরিবারের কথা ভেবে থাকি।”
আজম, যশোরের ছেলে, বললেন, “রোজার ঈদে ঢাকায় থাকি, কোরবানির ঈদে যাই। টাকার জন্য করতে হয়।”
আয়ুব আলী শুধু ঈদের সময় ঢাকায় আসেন। তিনি বলেন, “গ্যারেজে সবাই মিলে সেমাই-পোলাও খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু পরিবারের কথা মনে পড়ে। ফোনে কথা হয়, তবু মনে হয় কিছু একটা নেই।”
এই গল্প শুধু তিনজনের নয়—এটা সেই সব বাবাদের, ভাইদের, কিংবা স্বামীদের গল্প, যারা নিজেদের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি আনার স্বপ্নে ছুটছেন।
তাদের চোখে ঈদের আলো কম, তবুও তারা সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করছেন—নিজেদের আনন্দ ত্যাগ করে প্রিয়জনদের দায়িত্ব পালন করছেন।
আপনার আশেপাশে এমন কেউ থাকলে, ঈদের হাসিটা ভাগ করে নিন। হয়তো আপনি একটুখানি সময় দিয়েই কারও ঈদটা রঙিন করে তুলতে পারেন।
👉 এখনই কমেন্টে লিখে জানান, এই ঈদে কাকে আপনি সবচেয়ে বেশি মিস করেছেন?
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট