আপনার শরীরটা কি শুধু আপনিই ব্যবহার করছেন, নাকি এটা আল্লাহর আমানত? এই প্রশ্নটা যদি গুরুত্ব দিয়ে ভাবেন, তাহলে বুঝবেন—স্বাস্থ্য সচেতনতা কেবল চিকিৎসাবিদ্যার বিষয় না, বরং ঈমানের অংশ।
ইসলাম শুধু নামাজ-রোজা নয়, বরং প্রতিটি জীবনের খুঁটিনাটি নিয়েই দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্বাস্থ্য সচেতনতা। আল্লাহর দেওয়া এই শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতি আমাদের রয়েছে দায়িত্ব। হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—“তোমার শরীরের তোমার ওপর হক আছে” (তিরমিজি)। তাই, সুস্থ থাকা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও চিকিৎসা গ্রহণ করাও ইসলামে ইবাদতের অংশ।
নবীজী (সা.) নিজে ছিলেন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সচেতন। তিনি দিনে বহুবার অজু করতেন, ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার অভ্যাস করতেন এবং সাহাবিদের শিখিয়েছেন খাবারের আগে-পরে হাত ধুতে। ভাবুন তো, আজকের আধুনিক বিজ্ঞান যেসব নিয়ম মানতে বলছে, ইসলাম সেগুলো শত শত বছর আগেই বলেছে!
বিশেষ করে সংক্রমণ ও রোগ প্রতিরোধে ইসলাম বারবার পবিত্রতার কথা বলেছে। যেমন, ঘরে-বাইরে পরিষ্কার থাকা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা ইত্যাদি। এমনকি কোনো রোগ হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)।
বার্ধক্য ছাড়া এমন কোনো রোগ নেই যার উপশম আল্লাহ সৃষ্টি করেননি—এমন হাদিস আমাদের ভরসা দেয় যে প্রতিটি রোগের সমাধান আছে, শুধু সচেতন হতে হবে।
আজই নিজেকে প্রশ্ন করুন—আমি কি আমার শরীরের প্রতি ইসলামিক দায়িত্ব পালন করছি? শুরু করুন পবিত্রতা, স্বাস্থ্যবিধি আর সচেতনতার সেই পথচলা। কারণ আপনি সুস্থ থাকলেই পরিবার, সমাজ ও উম্মত উপকৃত হবে।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট