নেতা হবেন মেধা ও ত্যাগ দিয়ে, না কি শুধু রক্তের সম্পর্কই সবকিছু ঠিক করে দেবে?
আজকের তরুণরা যখন গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা আর নেতৃত্বের নতুন মুখ দেখতে চায়—তখনো রাজনৈতিক মঞ্চে সেই পুরোনো চিত্র, পরিবারতন্ত্রের শক্ত অবস্থান। প্রশ্ন জাগে—এই ধারায় কি সত্যিকারের নেতা উঠে আসবে?
আপনি কি কখনো এমন নেতা চেয়েছেন, যিনি আপনার কথা ভাববেন? কিন্তু আপনি দেখেন, মনোনয়ন পায় সেই ছেলে বা ভাই, যার বড় ভাই এমপি ছিলেন! মেধাবী, সাহসী কেউ হয়তো অনেক আগে থেকেই মাঠে কাজ করছে—কিন্তু তার পরিচয়ই সব হার মানে পরিবারের তকমার কাছে। এই একচোখা রাজনীতিতে হারিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ।
পরিবারতন্ত্র এখন আর শুধু দলীয় নেতৃত্বের নাম নয়, এটি হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতির কালো ছায়া। বিএনপিতে তারেক রহমান হোক বা জাতীয় পার্টিতে এরশাদের পরিবার—সব জায়গায় একই গল্প। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক এলাকায়ও দেখা যায়, ক্ষমতাধরদের আত্মীয়রা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উঠে আসছেন। ভোটের রাজনীতি এখন অনেকটাই হয়ে উঠেছে বংশগত সম্পত্তির মতো। অথচ গণতন্ত্র মানে সবার অংশগ্রহণ, সুযোগের সমতা। পরিবারতন্ত্র সেই মূল জায়গাটাকেই গিলে খাচ্ছে।
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ—এই উপমহাদেশে পরিবারতন্ত্র রাজনীতিকে পেছনে টেনে ধরছে। কংগ্রেসে রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে বিজেপিতেও রয়েছে পারিবারিক দাপট। আমাদের দেশে পরিবারতন্ত্রের কারণে গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড দুর্বল হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে প্রজন্মের মাঝে হতাশা।
আপনি যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র চান, তাহলে প্রশ্ন তুলুন, সচেতন হোন—পরিবারতন্ত্র নয়, নেতৃত্ব হোক যোগ্যতার ভিত্তিতে। এখনই শেয়ার করুন এই বার্তাটি!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট