কেন এখনো নারীরা রাজনীতির মূল নেতৃত্বে স্থান পাচ্ছেন না, ভেবেছেন কখনো?
দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেতাও নারী—তবুও দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিটি স্তরে নারীর অংশগ্রহণ এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। কেন সংরক্ষিত ৫০ আসন পেরিয়ে সাধারণ আসনে নারীদের অবস্থান অদৃশ্য প্রায়? প্রশ্ন উঠছে—আইন আছে, সংবিধান আছে, তবু বাস্তবায়ন কই?
✨ ৩৩% অংশীদারিত্ব—শুধুই কি সংখ্যা?
২০০৮ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলের সব স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু ২০২৫ সামনে এলেও বেশিরভাগ দলের কমিটিতেই এখনো সেই ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি অনুপস্থিত।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৮% আর বিএনপিতে ১৫%। মাঠে নারীদের দেখা গেলেও, টেবিলের সিদ্ধান্তে তারা কোথায়?
💡 নারী নেতৃত্বে বাধা কোথায়?
-
পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা
-
নামমাত্র আইন বাস্তবায়ন
-
দলীয় নেতৃত্বে স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছার অভাব
-
রাজনৈতিক পরিবারে নারীর নিজস্ব চিন্তার জায়গা না থাকা
✅ সমাধান কী?
-
বাস্তবায়নযোগ্য আইন প্রয়োগ
-
অংশগ্রহণ নয়, নেতৃত্বে নারীকে জায়গা দিতে হবে
-
শুধু ‘সংরক্ষিত আসন’ নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সাধারণ আসনেও নারীদের প্রাধান্য বাড়াতে হবে
-
পরিবার, সমাজ ও দলীয় পর্যায়ে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
এখনই সময় নারীদের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়ার।
আইন আছে, সুযোগ আছে—এখন দরকার ইচ্ছাশক্তি ও সম্মিলিত উদ্যোগ।
চলুন সবাই মিলে একটি সমতার রাজনীতি গড়ে তুলি, যেখানে নারী শুধুই সংরক্ষিত আসনের নাম নয়—নির্ণায়ক সিদ্ধান্তেরও অংশ!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট