“আমেরিকার ভবিষ্যৎ কি বিভক্তির দিকেই এগোচ্ছে?”
এই প্রশ্নই উঠে আসছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখ থেকে প্রকাশ পাওয়া এক স্বীকারোক্তিতে—যেখানে তিনি নিজেই বলেন, “আমেরিকা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বিভক্ত।”
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ লন থেকে রিপাবলিকান পার্টির কনভেনশন শেষে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে সব অর্জন ধ্বংস হয়ে যাবে। এই নির্বাচন আদর্শিক লড়াই—একপাশে থাকবে দেশপ্রেম, অন্যপাশে থাকবে নৈরাজ্য।” তিনি বারবার বাইডেনকে নৈরাজ্যবাদীদের মুখপাত্র হিসেবে তুলে ধরেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটি বিষয়—
হোয়াইট হাউসের ভেতরে যখন ট্রাম্প বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, ঠিক তখন বাইরে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে স্লোগান তুলছিলেন। ব্যানারে ব্যানারে ফুটে উঠছিল বিভক্ত আমেরিকার ক্ষোভ। ট্রাম্প এসব বিক্ষোভকে “সহিংসতা ও লুটপাটের” প্রতিচ্ছবি বলেই উল্লেখ করেন।
ভাষণে যা থাকল না:
করোনা মহামারিতে ১.৮ লাখ মৃত্যুর দায় কিংবা অর্থনৈতিক দুরবস্থার কোনো উল্লেখ ছিল না প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে। বরং বাইডেনকে “চাকরি ধ্বংসকারী” আর “বর্ণবাদের প্ররোচক” বলেই দোষারোপ করেছেন তিনি।
ট্রাম্প বনাম বাইডেন—কী বললেন দুই প্রার্থী?
বাইডেন পাল্টা বলেন, “ট্রাম্প চাচ্ছেন সহিংসতা বাড়ুক, যেন সেটাকে দেখিয়ে ভোট আদায় করা যায়।” অন্যদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেন, “এই কনভেনশন ছিল শুধুই ট্রাম্পকে খুশি করার নাটক।”
“ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন আমেরিকা বিভক্ত—আপনি কি মনে করেন এর দায় কার?” কমেন্টে জানান এবং খবরটি শেয়ার করুন।”
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট