আপনি কি একজন মুসলিম নারী হয়ে জানেন ইসলাম আপনাকে কী মর্যাদা দিয়েছে? নাকি সমাজের ভুল ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন?
ইসলাম শুধু নামাজ, রোজা বা পর্দার কথা বলেনি। ইসলাম নারীর জন্ম থেকে শুরু করে, শিক্ষা, সম্পত্তি, বিবাহ, কর্মজীবন, এমনকি বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা, সম্মান ও মর্যাদার বিধান দিয়েছে।
প্রধান বিধানসমূহ সংক্ষেপেঃ
১. শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ
প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন: “প্রতিটি মুসলিম পুরুষ ও নারীর ওপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।” (ইবনে মাজাহ)
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই শিক্ষা বাধ্যতামূলক।
২. হিজাব ও পর্দা
ইসলাম নারীর মর্যাদা রক্ষা করে। সে জন্য শরীর ঢেকে রাখা ও শালীনতা বজায় রাখা ফরজ।
সূরা আন-নূর (২৪:৩১) ও সূরা আহযাব (৩৩:৫৯)-এ স্পষ্ট নির্দেশনা আছে।
৩. উত্তরাধিকার ও সম্পত্তির অধিকার
ইসলাম নারীকে পিতার, স্বামীর ও সন্তানের সম্পত্তিতে স্পষ্ট অংশ নির্ধারণ করেছে।
এটি ছিল এক যুগান্তকারী পরিবর্তন যা আধুনিক বিশ্ব অনেক পরে স্বীকার করেছে।
৪. বিবাহে নারীর সম্মতি আবশ্যক
ইসলাম নারীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার অনুমতি দেয় না। সম্মতি ছাড়া কোনো বিবাহ বৈধ নয়।
৫. ইবাদতের সমান সুযোগ
পুরুষের মতো নারীরও নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদির বিধান রয়েছে। পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য সওয়াব সমান।
৬. কর্মজীবনে অংশগ্রহণ
ইসলাম নারীদের হালাল পেশায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়, তবে শালীনতা ও নিরাপত্তা বজায় রেখে।
৭. মাতৃত্ব ও সংসারের সম্মান
জান্নাত মায়ের পায়ের নিচে’—এ হাদিস নারীর মর্যাদার শিখর প্রকাশ করে।
নারীর সম্মান হোক শরিয়তের আলোকে, পশ্চিমা ফাঁদ নয়। ইসলাম নারীর স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয় না, বরং তাকে সত্যিকার স্বাধীনতার নিরাপদ ছায়া দেয়।
আপনি যদি একজন মুসলিম নারী হন, তাহলে কুরআন ও হাদিস থেকেই নিজের জন্য বিধান জানুন। সমাজ নয়, ইসলাম হোক আপনার পরিচয়।
আজই শুরু করুন কুরআন বোঝা, ইসলাম জানার যাত্রা।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট