আপনার অনলাইন কেনাকাটা কি নিরাপদ? ই-কমার্স ব্যবসা কি আগের চেয়ে আরও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে স্বচ্ছতা ও গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বেশ কিছু নতুন আইন ও নীতিমালা চালু করেছে। জেনে নিন, কীভাবে এগুলো আপনার ব্যবসা ও কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রভাবিত করবে!
ই-কমার্স আইন: কী কী পরিবর্তন আসছে?
বাংলাদেশ সরকার ই-কমার্স খাতের সুষ্ঠু বিকাশ ও প্রতারণা রোধের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা ও আইন বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
🔹 জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮ – ই-কমার্স ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং পণ্য ফেরত ও রিফান্ড প্রক্রিয়া সহজ করা।
🔹 ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ – ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (UBID) বাধ্যতামূলক।
🔹 ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ আইন ২০২৩ (প্রস্তাবিত) – পণ্য ও সেবা সময়মতো ডেলিভারি না দিলে তিনগুণ জরিমানা বা কারাদণ্ডের বিধান।
🔹 ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (DBID) নিবন্ধন – ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাংকিং ও পেমেন্ট লেনদেনের অনুমতি পেতে বাধ্যতামূলক।
এই নতুন আইন ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের জন্য কী সুবিধা আনবে?
✅ প্রতারকদের ঠেকাতে কড়া নিয়ম – ভুয়া অফার ও প্রতারণামূলক ব্যবসা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা।
✅ গ্রাহক সুরক্ষা বৃদ্ধি – সহজে অভিযোগ দায়ের ও রিফান্ড পাওয়ার সুযোগ।
✅ স্বচ্ছতা নিশ্চিত – পণ্যের মজুদ, ডেলিভারি সময়সীমা ও রেটিং প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা।
✅ ই-কমার্স খাতের বিকাশ – সঠিক ব্যবসায়ীদের জন্য একটি সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ।
আপনার ব্যবসা কি এই আইনের জন্য প্রস্তুত?
👉 আপনার ই-কমার্স ব্যবসার জন্য DBID নিবন্ধন করা হয়েছে?
👉 পণ্য ডেলিভারির সময়সীমা ও গ্রাহক রিফান্ড নীতিমালা কি ঠিকঠাক আছে?
আপনার মতামত দিন—এই নতুন আইন কি বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের জন্য ভালো হবে? নিচে কমেন্ট করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট