বিশ্ব গাধা দিবস: উপেক্ষিত এই অবলা প্রাণীটি আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন?
কাউকে বোকা বলতে গেলেই আমরা গাধা বলি। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই গাধার অবদান কতটা আমাদের জীবনে?
গাধাকে নিয়ে যতই ঠাট্টা হোক, বাস্তবে গাধা একটি কর্মঠ, ধৈর্যশীল ও নির্ভরযোগ্য প্রাণী। পরিবহণ থেকে কৃষিকাজ, এমনকি ওষুধশিল্প পর্যন্ত গাধার ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। অথচ এর সম্মান নেই, স্বীকৃতি নেই। বিশ্ব গাধা দিবস পালনের পেছনে এই ভুল ধারণা ভাঙারই তো প্রয়াস।
ভালোবাসা চাই, সম্মান চাই – শুধু মানুষের জন্য নয়, সেই প্রাণীদের জন্যও, যারা নীরবে আমাদের পাশে থাকে। গাধা কখনো অভিযোগ করে না, কখনো ক্লান্ত হয় না, শুধু মানুষের প্রয়োজনে কাজ করে যায়। সেই অকৃতজ্ঞতাটুকুই কি আমরা ফিরিয়ে দিতে পারি না একটি দিন স্মরণ করে?
বিশ্ব গাধা দিবসের ইতিহাস ও গুরুত্ব:
২০১৮ সালে প্রাণিবিজ্ঞানী আর্ক রাজিক বিশ্ব গাধা দিবস চালু করেন। মরুভূমি অঞ্চলের মানুষের জীবনে গাধার অবদান দেখে তিনি এই দিবসের সূচনা করেন। প্রতি বছর ৮ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি, যাতে মানুষ গাধা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে।
চীনে গাধার চামড়া ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হওয়ায় এর সংখ্যা হুমকির মুখে। অথচ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ গাধাকে উপেক্ষা করলেও গাধা মানুষের বোঝা বইতে পিছপা হয়নি।
👉 আজকের দিনটিতে অন্তত একবার ভাবুন, আপনি যাকে অবহেলা করেন সেই প্রাণীটি আমাদের সভ্যতার জন্য কতটা দরকারি!
👉 গাধা নিয়ে মজা না করে বরং এই দিনটি তাকে সম্মান জানানোর দিন হিসেবে নিন।
আপনি কি কখনো গাধার আসল গুণাবলি নিয়ে ভেবেছেন?
👉 আজই শেয়ার করুন গাধার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি পজিটিভ বার্তা।
👉 #গাধাদিবস #বিশ্বগাধাদিবস লিখে সচেতনতা ছড়ান।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট