ডিজিটাল যুগে সবচেয়ে নিরাপদ তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতিটা কী হতে পারে বলে মনে হয় আপনার? আর যদি বলি—এটা কোনো মানুষ নয়, বরং প্রযুক্তির হাতে! বিশ্বাস হয়?
এখনকার দিনে শুধু ফেসবুক বা ইউটিউব নয়, ব্যাংকিং, হেলথ, রিয়েল এস্টেট এমনকি ভোটিং সিস্টেমেও ব্যবহার হচ্ছে এক অদ্ভুত কিন্তু শক্তিশালী প্রযুক্তি—ব্লকচেইন টেকনোলজি।
অনেকেই শুনেছেন ‘বিটকয়েন’-এর কথা। কিন্তু জানেন কি, এর পেছনের আসল যাদু হচ্ছে এই ব্লকচেইন?
ব্লকচেইন কী?
একটানা সংযুক্ত অনেকগুলো তালাবদ্ধ বাক্স, যেগুলোর প্রতিটা বাক্সে (ব্লকে) থাকে:
-
একটি নির্দিষ্ট তথ্য (লেনদেন, ডেটা),
-
সেটার নিজস্ব হ্যাশ (ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট),
-
এবং আগের ব্লকের হ্যাশ।
এভাবে প্রতিটি ব্লক পরবর্তী ব্লকের সঙ্গে যুক্ত থেকে তৈরি করে একটি চেইন—এই চেইনই হলো ব্লকচেইন।
আর আশ্চর্য ব্যাপার হলো—এই ব্লকগুলোর কোনো একটি সামান্য পরিবর্তন করলেই গোটা চেইন ‘ইনভ্যালিড’ হয়ে যায়। মানে, একবার রেকর্ড হয়ে গেলে তা আর মুছা বা বদলানো যায় না। তাই ব্লকচেইন তথ্য সুরক্ষায় এত নির্ভরযোগ্য।
ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে?
ধরা যাক, আপনি কাউকে একটি বিটকয়েন পাঠাচ্ছেন।
-
আপনার লেনদেনের তথ্য দিয়ে তৈরি হবে একটি ব্লক,
-
যা ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে যুক্ত সবাই আগে ভেরিফাই করবে,
-
তারপর সেই ব্লকটি স্থায়ীভাবে যুক্ত হবে চেইনে।
এই প্রক্রিয়ায় কেউ প্রতারণা করতে পারে না, কারণ সকল ব্লক জনসাধারণের যাচাইয়ে উন্মুক্ত এবং অটোমেটেড।
আজকের দুনিয়ায় যেখানেই হাত দেন, সেখানে ডেটা চুরি, হ্যাকিং, ভুয়া লেনদেন—সবই যেন সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
আর এই মুহূর্তেই প্রয়োজন একটি নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ ও নিরাপদ পদ্ধতি, যা কারও হাতে নয়, প্রযুক্তির সঠিক নীতিতে চলে।
👉 আপনার বয়স যতই হোক না কেন, এখনই ব্লকচেইন বুঝে ফেলার সেরা সময়!
👉 প্রযুক্তি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই—ঘুড়ি লার্নিং-এর মত প্ল্যাটফর্মে ব্লকচেইন নিয়ে সহজ কোর্স করলেই আপনি আগামীর জন্য প্রস্তুত।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট