আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন বাংলাদেশে হঠাৎ গরম পড়ে, তারপরই ঝড়-বৃষ্টি? এর পেছনে আছে দেশের বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশ একটি উপক্রান্তীয় (subtropical) জলবায়ুর দেশ। এর মানে, এখানে বছরে গড়ে চারটি মৌসুম দেখা যায়—গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয় বসন্ত ও হেমন্ত—ফলে মোট ছয়টি ঋতুর দেখা মেলে, যা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ব্যতিক্রম।
গ্রীষ্মকাল (মার্চ-মে):
এই সময় আবহাওয়া থাকে গরম ও শুষ্ক। তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি উঠে যায়। গ্রীষ্মের শেষে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়, যা তীব্র বাতাস ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে।
বর্ষাকাল (জুন-সেপ্টেম্বর):
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় এই সময়ে। গড়ে ৮০% বৃষ্টিপাত বর্ষাকালে হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প এনে দেশের ওপর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি):
তাপমাত্রা কমে যায়, কোথাও কোথাও ৭-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নামে। এই সময় আবহাওয়া শুষ্ক ও ঠান্ডা থাকে, আর কুয়াশা দেখা যায় বেশি।
জলবায়ুর প্রভাব:
বাংলাদেশের জলবায়ু দেশের কৃষি, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও নদীভাঙনের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে। তাই জলবায়ু সম্পর্কে সচেতন হওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।
আপনি কী জানেন?
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, বৃষ্টির অনিয়মিততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে অনেক অঞ্চল হুমকির মুখে।
শেষ কথাঃ
বাংলাদেশের জলবায়ু যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনই এটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ ও চ্যালেঞ্জ দুটোই। তাই এখনই সময়—প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সচেতন হবার।
আপনার এলাকায় এখন কেমন আবহাওয়া চলছে? নিচে কমেন্ট করুন, আমরা জানি শুনে ভালো লাগবে!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট