আপনি জানেন কি? বাংলাদেশের বুকে বয়ে চলা যমুনা নদীর বয়স কয়েকশ বছর, আর এর প্রতিটি ঢেউ বইছে ইতিহাস আর জনজীবনের গল্প।
যমুনা নদী, যা মূলত ব্রহ্মপুত্র নদেরই একটি ধারা—বাংলাদেশের অন্যতম বিস্তৃত ও শক্তিশালী নদী। কুড়িগ্রাম থেকে প্রবেশ করে এটি জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল পেরিয়ে গঙ্গায় মিলিত হয়েছে। নদীটির গড় প্রশস্ততা প্রায় ১০ কিমি, আর বর্ষায় তা আরও বেড়ে যায়, কোথাও কোথাও ২০ কিমিও ছুঁয়ে ফেলে!
১৮শ শতকের শেষ দিকে ভূমিকম্প ও বন্যার কারণে ব্রহ্মপুত্র তার গতিপথ পরিবর্তন করে আজকের যমুনা রূপ নেয়। এরপর থেকেই যমুনা নদী হয়ে ওঠে দেশের উত্তরের প্রাণ।
এই নদীর বিশাল চর, প্রবল স্রোত আর বর্ষাকালে রেকর্ড পরিমাণ পলিবাহী প্রবাহ দেশের কৃষিতে একদিকে যেমন ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে বন্যা ও ভাঙনও বয়ে আনে অনেক দুঃখগাথা।
কিন্তু এই বিশাল নদীই একদিন পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার সংযোগ ঘটায় বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে।
১৯৯৮ সালে চালু হওয়া ৪.৮ কিমি দীর্ঘ এই সেতু শুধু সড়ক বা রেলপথের সংযোগই নয়, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাতেও যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। কিন্তু সেতুর নিচে এখনও প্রতিদিন যমুনার স্রোত বদলায়, চর গড়ে ওঠে, আবার হারিয়ে যায়।
যমুনার সৌন্দর্য যেমন চিত্তাকর্ষক, এর প্রভাবও তেমন বিশাল। নদীটি আমাদের কৃষি, পরিবহন, সংস্কৃতি, এমনকি রাজনৈতিক বাস্তবতায়ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
আপনি কি যমুনা নদী পেরিয়েছেন কখনো? চর, স্রোত আর ভাঙনের বাস্তবতা কি চোখে দেখেছেন?
এখনি সময় জানার, বোঝার, আর এই ঐতিহাসিক নদীকে ঘিরে নতুন দৃষ্টিতে ভাবার।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট