আপনি কি জানেন, এমন এক রাত আছে যা শুধু উপবাস বা পূজার জন্য নয়, বরং সৃষ্টি আর ত্যাগের প্রতীক? সেই রাতই “মহা শিবরাত্রি”।
হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে গভীর অর্থবোধক রাতগুলোর একটি হল মহা শিবরাত্রি। প্রতিটি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। কিন্তু এই শিবরাত্রির পেছনের ইতিহাস শুধু পূজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং রয়েছে বিস্ময়কর কিছু বিশ্বাস আর আধ্যাত্মিক শিক্ষা।
🕉️ এই রাত কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
✅ শিব-পার্বতীর শুভ বিবাহ:
শ্রুতিতে পাওয়া যায়, এই রাতেই মহাদেব শিব ও দেবী পার্বতী পরিণয় বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাই বিবাহিত ও অবিবাহিত নারীরা এ দিন উপবাস থেকে শুরু করে পূজা-অর্চনায় মগ্ন থাকেন, সুখী ও সুন্দর দাম্পত্য জীবনের আশায়।
✅ সমুদ্র মন্থনের হালাহল বিষ:
সমুদ্র মন্থনের সময় ভয়ঙ্কর হালাহল বিষ যখন বিশ্ব ধ্বংসের মুখে নিয়ে আসে, তখন সেই বিষ গিলেন শিব। এই রাত্রেই তিনি “নীলকণ্ঠ” রূপ ধারণ করেন। সেই স্মৃতিতেই শিবলিঙ্গে দুধ, জল, বেলপাতা দিয়ে প্রার্থনা করা হয়—তাঁর শান্তির জন্য।
✅ তাণ্ডবের রাত্রি:
অনেক পুরাণ মতে, এই রাতে শিব তাঁর সৃষ্টিশীল ও ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব নৃত্য করেন। এটি একটি চক্র—জীবন, মৃত্যু, পুনর্জন্মের।
🔱 মহাশিবরাত্রিতে কী করা হয়?
-
সারারাত জাগরণ ও ধ্যান করা হয় শিবের প্রতি।
-
শিবলিঙ্গে অর্পণ করা হয় দুধ, জল, মধু, বেলপাতা।
-
ভক্তরা পালন করেন উপবাস, করেন গীত-ভজন ও কীর্তন।
💡 আপনি কী শিখবেন এই রাত থেকে?
শিবরাত্রি শুধুমাত্র পূজা নয়, এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মত্যাগ এবং ভক্তির গভীর শিক্ষার প্রতীক। এটি শেখায় কিভাবে একটি হৃদয়, বিশ্বাস আর সংকল্প দিয়ে বদলে দিতে পারে পুরো একটি বিশ্ব।
আপনি কী এই শিবরাত্রিতে শুধু উপবাস নয়, বরং নিজের জীবনে শিবের মতো কিছু আত্মত্যাগ এবং একাগ্রতা আনতে প্রস্তুত? এখনই সিদ্ধান্ত নিন।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট